আপডেট: মে ২২, ২০২০
ডেক্স রিপোর্ট ঃ
বানারীপাড়ায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানে অসংখ্য কাঁচা ঘর বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার পাশাপাশি বোর ধান ও সজ¦ীর ব্যাপাক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও জ¦লচ্ছাসে সন্ধ্যা নদীর পানি ৪ থেকে ৫ ফুট বৃদ্ধি পেয়ে পৌর শহরের বন্দর বাজারসহ ৮টি ইউনিয়নের ৪০০ পুকুর ও ঘের ডুবে কয়েক কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে। একই ভাবে বন্দর বাজারের অর্ধশতাধিক গুদামে সন্ধ্যা নদীর পানি ডুকে সিমেন্ট ও মুধি দোকানীদের লাখ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ধমকা হাওয়ার গতিবেগ ক্রর্মেই বারতে থাকে। এটি থেমে থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত একটানা চলতে থাকে। এর পর থেকে ভোর রাত পর্যন্ত মাঝে মধ্যে ধমকা হওয়ার ও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়তে থাকে। এসময় সন্ধ্যা নদীর পানি ৪ থেকে ৫ ফুট বৃদ্ধি পেয়ে
পৌর শহরের বন্দর বাজারসহ ৮টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়। এছাড়া বিদ্যুৎ না থাকার কারণে গ্রামীণ ফোনসহ কয়েকটি মোবাইল কোম্পানির আইপিএস দূর্বল থাকায় মোবাইল নেটোয়ার্ক নোসার্ভিসে পরিনত হয়। ফলে স্থানীয় মোবাইল গ্রাহকদের জরুরী যোগাযোগ দূর্বিসহ হয়ে পড়ে। পর দিন সকালে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করে বন্যা দূর্গতদের পাশে থেকে সর্বাত্মক সহযোগীতা করার ঘোষনা দিয়েছেন,বানারীপাড়া পৌর সভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র শীল। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুযায়ী বন্যা দূর্গত পৌর বাসীর পাশে থাকার ঘোষনা দেন।
এদিকে বুধবার দুপুরে ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সদর ইউনিয়নের উত্তর গাভা ও সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের খেজুরবাড়ি আবাসনের শতাধিক পরিবারকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পার্শবর্তী সাইক্লোন সেল্টারে সরিয়ে নেয়া হয়। এসময় উপজেলা প্রশাসন তাদেরকে বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবার সর্বরাহ করার পাশাপাশি রাতে খিচুরী খাওয়ার ব্যাবস্থা করেণ। ঝড় থেমে যাওয়ার পরদিন সকালে ওই পরিবার গুলো নিজ গৃহে ফিরে যায়।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবেলায় তারা জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে নগদ ২০ হাজার টাকা ২০ মেট্রিক টন ত্রাণের চাল বরাদ্ধ পেয়েছেন। ##