আপডেট: মে ৩১, ২০২০
হোসাইন আমির,কুয়াকাটা (পটুয়াখালী)প্রতিনিধি
পর্যটন শিল্পে ২২ বছরেও দেখেনি এই দৃশ্য। যুগে যুগে বহু প্রেক্ষপট পাল্টায় আবার প্রকৃতির মাঝে ফিরে আসে। যে দিকে চোখ যায় শুধূই শুন্য আর শুন্য। খোলা আকাশ তার নিজের গতিতে বাতাসে শ্বাস নিচ্ছে । সাগর তার ঢেউয়ের দোলোনিতে প্রাণ ফিরে পাচ্ছে। শুধু মানুষ আর প্রকৃতির মিল হচ্ছেনা আড়াই মাস। গত ২ যুগ ধরে ঈদুল ফিতরে একটি মূর্হুতের জন্য কুয়াকাটা সৈকত জন শুণ্য হয়নি। এবারই প্রথম কুয়াকাটা পর্যটক শূন্য সীবিচ। মহামারি করোনার থাবায় বিশ্বটাকে যখন স্থাবীর করে দিচ্ছে কিন্ত সেই মুহুর্তে তার প্রভাবও লাগে এই কুয়াকাটায় । স্বস্তিতে নেই আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র সাগর কন্যা কুয়াকাটা। যার কারণে হাজার হাজার মানুষ বেকার হয়ে পরে আছে।শত কোটি টাকা লোকসানের মুখে পর্যটন শিল্পের মতামত রয়েছে কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট এ্যাসোশিয়েসন (কুটুমের) নেতৃবৃন্দ।
কুয়াকাটা সীবিচ ঘুরে দেখা যায়. ঘটে যাওয়া ২ যুগের ভিন্ন চিত্র। ১৯৯৮ সালে বর্তমান মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা শুভ উদ্বধোন করেন সে থেকে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার আনুষ্ঠানিক ভাবে যাত্রা শুরু। পরবর্তি সময়ে ১ ঘন্টার জন্য সমুদ্র সৈকত ফাকাঁ হয়নি। প্রকৃতির দখলে সমুদ্র সৈকত। নেই যে কোন কলোহল, গাড়ীর শব্দ,সাউন্ড,মিউজিক,হৈচৈ,ছুটাছুটি প্রকৃতি যেন ও আপন রুপ নিচ্ছে। ১৮ কিলো র্দীঘতম সৈকত ফাকাঁ হয়ে পড়ে আছে। খা খা করছে মানুষ বিহীন সৈকত। চলমান মহামারী করোনায়- এবার ভিন্ন এক ঈদুল ফিতর উপভোগ করলো সমুদ্র সৈকত । করোনা তার প্রকৃতিকে সাহায্য করে মানুষকে আজাবের ভিতরে রাখছে এমটাই বলছে স্থানীয়রা। সীবিচের পুরানো ব্যবসায়ী খেপুপাড়া হোটেলের রুহুল আমিন বলেন, আমার বাবা ২১ বছর আগে ব্যবসার জন্য এলাকায় আসছে সেই থেকে দেখে আসছি এবারই পর্যটক ছাড়া ঈদুল ফিতর। যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিলো আমার প্রাণ আর সেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আমাকে ডাকছেনা প্রায় আড়াই মাস। কুয়াকাটা ব্যবসায়ী, মাটির সাথে মিশে থাকা সানরাইজ ট্যুরিজমের সিইও শাহজালল মিয়া বলেন, ৯৬ সালে শুরুর দিকে কুয়াকাটা সৈকতকে দেখে আসছি কোন দিনই জনশুন্য খা খা দেখি নাই। শুধুই মহামারি করোনায় আমাদের এই দৃশ্য দেখতে হলো । ৩২ বছর সৈকতে কাটানো সৈকত পাগল তৈয়বুর রহমান বলেন,আমি কক্সবাজার সৈকতে ১০ বছর আর কুয়াকাটা সৈকতে ২২ বছর ব্যবসায়ী কাজে জীবন পার করলাম ঈদুল ফিতরে সৈকতে জন শুন্য এইবার বিরল ঘটনা। এ রকম পরিবেশ কারোও পরবর্তি প্রজন্মে না আসে এটাই আমার প্রত্যাশা সৃষ্টি কর্তার কাছে। করোনায় ঈদুল ফিতরে সৈকতের নিঘুম কান্নায় জড়িয়ে আছে এখান কার হাজার হাজার বেকার যুবক। পরিবার পরিজন নিয়ে সে কান্না ভাগাভাগী করছে নিঝর্নে বসে,কবে শেষ হয়ে আবার ফিরে পাবে পর্যটন শিল্পের বিকাশ ,সে আশায় অপেক্ষমান কুয়াকাটার পর্যটন শিল্প ।