আপডেট: নভেম্বর ২৩, ২০২০
বরগুনার আমতলী উপজেলার হলুদিয়ায় জমি বিরোধের জের ধরে ছোট ভাই ও তার পরিবারের ৪ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে বড় ভাই ও তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা। এ সময় তারা রেনু বেগম এর কানের দুল এবং নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
গত রবিবার সকাল সাতটায় উপজেলার পশ্চিমচিলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলো, হেলাল গাজি এবং হেলাল গাজীর স্ত্রী রেনু বেগম, ছেলে শাহীন ও লিমন।
এদের মধ্যে রেনু বেগম ও শাহীন গাজীকে গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাআলে ভর্তি করা হয়েছে এবং অন্যান্যরা আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়া হয়।
হামলায় রেনু বেগম এর মাথায় ২০ টির বেশি কোপের জখম এবং শাহিন গাজীর মাথার ডান পাশে কোপের মারাত্মক জখম রয়েছে।
তবে রেনু বেগম এর অবস্থার অবনতি হলে যেকোনো সময় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন শেবাচিমের কর্তব্যরত চিকিৎসক।
আহত শাহিন গাজী জানান, দীর্ঘদিন ধরে হেলাল গাজীর সাথে জমি নিয়ে তার বড় ভাই জালাল গাজী অপর বাই বেলাল গাজীর পূর্ব বিরোধ চলে আসছে।
জালাল ও বেলাল গাজী সহ তাদের সহযোগীরা জোরপূর্বক ভাবে হেলাল গাজীর জমি জবর দখল করার চেষ্টা করে আসছে।
জমি নিয়ে প্রায় সময় হেলাল গাজী ও তার পরিবারকে বিভিন্ন ভয়-ভীতির সহ প্রাণনাশের হুমকি দেয় জালাল, বেলাল ও তাদের সহযোগী সন্ত্রাসীরা।
ঘটনার দিন গত রবিবার সকালে জমি নিয়ে হেলাল গাজীর সাথে জালাল ও বেলালদের দ্বন্দ্ব হয়।
এরই জের ধরে একপর্যায়ে জালাল ও তার তিন ছেলে নান্নু, জহিরুল, রবিউল, অপর ভাই বেলাল গাজী ও তার ছেলে কাওসার সহ তাদের সহযোগী ফুলবানু, মিনারা পরিকল্পিতভাবে হেলাল গাজীর উপর হামলা চালায়।
হেলাল কে বাঁচাতে স্ত্রী রেনু বেগম, ছেলে শাহিন, লিমন আসলে তাদেরকেও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করেন জালাল গাজী সহ অন্যান্য সন্ত্রাসীরা।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
সেখানে আহতদের মধ্যে রেনু ও শাহিনের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষণিক বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে আহতের স্বজনরা জানান।