আজ ৭ মার্চ রবিবার সকাল সাড়ে ১২ টায় জেলা প্রশাসন বরিশালের আয়োজনে ৭ই মার্চের ভাষণ উপলক্ষে একই পরিবারের দুজন বহুমাত্রিক শারীরিক প্রতিবন্ধীকে দুটি হুইলচেয়ার ও ৫ হাজার টাকার অর্থীক সহযোগিতা প্রদান করেন জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার। এসময় উপস্থিত ছিলেন নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) বরিশাল মোঃ নাজমূল হুদা, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় বরিশাল সুব্রত বিশ্বাস দাস, প্রবেশন অফিসার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় বরিশাল সাজ্জাদ পারভেজ, প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র বরিশালের কনসালট্যান্ট ডা. মননুজা রহমানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। সংসারে দুজন বহুমাত্রিক শারীরিক প্রতিবন্ধী। অন্ধ, কালা, কুঁজো। শরীরে বাসা বেঁধেছে একাধিক রোগ। সুদূর গাইবান্ধা থেকে বরিশালে এসেছেন শহিদুল ইসলাম, আনোয়ারা বেগম ও ফাতেমা আক্তার। শহিদুল ও ফাতেমা শারীরিক প্রতিবন্ধী। তাদের চলাচলের জন্য নেই হুইলচেয়ার। শেষে আরেক প্রতিবন্ধীর কাছ থেকে হুইলচেয়ার এনে কোনোরকমে চলছে দিন। বিনিময়ে দিতে হচ্ছে ৫০ টাকা করে ভাড়া। বিষয়টি জানতে পেরে আজ জেলা প্রশাসক বরিশাল জসীম উদ্দীন হায়দার তাদের আজ এই সহযোগিতা করেন। এসময় জেলা প্রশাসক বরিশাল জেলাকে ভিক্ষুক মুক্ত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তাদের মূল বাড়ি গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড কানিপাড়া গ্রামে। আজ থেকে ২২ দিন আগে তারা বরিশালে এসেছেন চরমোনাইয়ের মাহফিল উপলক্ষে। ভেবেছিলেন এখানে মানুষের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে একটি হুইলচেয়ার কিনবে। তার এখন বরিশালের নদী বন্দর-সংলগ্ন স্টিমারঘাট এলাকায় পরিত্যক্ত একটি বেঞ্চের পাশে প্লাস্টিকের বস্তা বিছিয়ে বসবাস করছে পরিবারটি। আনোয়ারা বেগম এর চাচাশ্বশুর প্রতিবন্ধী শহিদুল ইসলাম আনোয়ারা বেগম অসুস্থ হয়ে পড়লে অস্ত্রোপচার করতে হয়। এতে তার যতটুকু জমি ছিল, তা বিক্রি করে দিয়েছেন। এখন প্রতিবন্ধী চাচাশ্বশুর ও নিজ মেয়েকে নিয়ে মানুষের সাহায্যে চলছেন। চলাচলে সম্পূর্ণ অক্ষম দুজন প্রতিবন্ধীকে তাকেই দেখাশোনা করতে হয়। এর মধ্যে তার ১৯ বছরের মেয়ে ফাতেমা আক্তার উঠে দাঁড়াতে পারে না। দেখে না চোখে। এমনকি কানেও শোনেন না। ওদিকে চাচাশ্বশুর শহিদুল ইসলামের সারা শরীরে ছোট ছোট টিউমার। জন্ম থেকে কুঁজো হওয়ায় বসে বসেই সবকিছু করেন তিনি। তাই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করতে অর্বণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আজ হুইলচেয়ার পেয়ে প্রতিবন্ধী
শহিদুল ইসলাম বলেন, সরকার আমাদের দুজনকেই ভাতা কার্ড করে দিয়েছে। আমাদের অভাব ছিলো দুইটা হুইলচেয়ারের আজ প্রধানমন্ত্রী ডিসি স্যারের মাধ্যমে পুরোন করেছে আমাদের চাওয়া। আমরা দোয়া করি আল্লাহ শেখ হাসিনার ওপর আরও সদয় হোক। আমাদের বাকি জীবনটা যেন চলতে পারি তার দয়ায়।