বানারীপাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি
বরিশালের বানারীপাড়ায় দলীয় শৃংঙ্খলা ভঙ্গকরা ও সংগঠন পরিপন্থি কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগে পৌর বিএনপির ৩ নেতাকে সাময়ীক বহিস্কার ও ৩ জনকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতী দেয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১ নেতার অব্যাহতী দানের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এবিষয়ের সত্যতা স্বীকার করে রোববার বিকেলে বানারীপাড়া পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস ছালাম জানান, ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান করার পাশাপাশি আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীর পক্ষ অবলম্বন করার কারণে ও সংগঠন পরিপন্থি কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগে পৌর বিএনপির ৩ নেতাকে সাময়ীক বহিস্কার ও ২ জনকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতী দেয়া হয়েছে। এবিষয়ে ৫ মার্চ সকালে দলীয় কার্যালয়ে পৌর বিএনপির সভাপতি আহসান কবির নান্না হাওলাদারের সভাপতিত্বে এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় পৌর বিএনপির অভিযুক্ত নেতাদের বিরুদ্ধে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নেয়া ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো.আনিচুর রহমান মৃধা, ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো.মাসুম বিল্লাহ মনু, সাধারণ সম্পাদক মো.নাসির উদ্দিন মৃধাকে সাময়ীক বহিস্কার করার পাশাপাশি ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো.রফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো.জাহিদ হোসেন ও ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো.শফিকুল আলম জুয়েলকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতী দেয়া হয়। এর এক দিন পর ৬ মার্চ বিকেলে জেলা ও কেন্দ্রীয় বিএনপির কয়েক জন নেতার সুপারিশে ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো.রফিকুল ইসলাম’র অব্যাহতি প্রত্যাহার করে পূনরায় তাকে সপদে বহাল রাখা হয়েছে বলে পৌর বিএনপির সম্পাদক ছালাম জানান। এছাড়াও পৌর বিএনপির অভিযুক্ত নেতাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ভাবে চুরান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য জেলা বিএনপির কাছে রেজুলেশন আকারে পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দু’বছর পর ৩ নেতার বহিস্কার ও ২ জনকে অব্যহতী দেয়ার বিষয়ে পৌর বিএনপির সমপাদক আব্দুস ছালাম জানান, তাদেরকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার জন্য দীর্ঘ দিন ধরে আমরা অপেক্ষা করেছিলাম। কিন্তু তারা দলের গ্রুত্বপূর্ণ পদে থেকে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে দলের শৃংঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। ফলে তাদেরকে সাময়ীক বহিস্কার ও পদ থেকে অব্যাহতী দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।