আপডেট: এপ্রিল ৭, ২০২১
মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রীঃ আমার সালাম গ্রহন করুন। আসসালামুআলাইকুম। আমরা বেসরকারী শিক্ষক, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী চলছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর মানে যৌবন পার হয়ে গেছে। আর আমাদের ও যৌবন পার হয়ে গেছে। দেশের অনেক উন্নয়ন হয়েছে।আর শিক্ষা ক্ষাত কত টুকু উন্নয়ন হয়েছে,তাও কিন্তু ভাববার সময় এসেছে। সকল শিক্ষা জাতীয় করন করলে দেশের মানুষের অনেক লাভ হতো।আর শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্য দূর হতো।শিক্ষকদের মযার্দা বৃদ্ধি পেত।সরকারের অর্থনৈতিক কোন ক্ষতি হতো না।আজ ২০বছর হয়ে গেল শিক্ষকরা ২৫%বাড়ী ভাড়া পায় এটাকি আপনি জানেন না। এর মধ্যে পে-স্কেল আসল গেল।কিন্তু বাড়ী ভাড়া১০০০/-টাকাই রয়ে গেল।দেশে কি এমন কোন শিক্ষা মন্ত্রী নেই যে,সে বঙ্গবন্ধুর মত বলবে আমার শিক্ষক সমাজ আজ অভুক্ত। ২০বছর হয়ে গেল ১০০০/-টাকা বাড়ীভাড়া পায়,২৫%ঈদ বোনাস পায়। আমি যদি শিক্ষাকে জাতীয় করন করতে না পারি,তাহলে ভালো ছাত্ররা শিক্ষকতা পেষায় আসবে না।কারন এটা তাদের মর্যাদার লড়াই।
মাননীয়শিক্ষা মন্ত্রীঃ
আপনি একবার ভেবে দেখুন, শিক্ষা জাতীয় করন হলে জাতি কতটা উপকৃত হয়।সেখানে শিক্ষকের শুধু সম্মান টুকু বৃদ্ধি পায়। এ বিষয় আপনার গবেষণা করতে হবে। আজ সচিব সাহেব বলেন, শতভাগ উৎসব ভাতা দিতে হলে অর্থমন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাগবে। সেটাতো লাগবেই।তা যদি শিক্ষকদের জানান তাহলে আপনার মর্যাদা বৃদ্ধি পায় না, সেটা কি ভাবে শিক্ষকদের দেয়া যায় সেই ব্যবস্থা করাই আপনার কাজ।
আমার মনে হয় সবাই গা বাচিয়ে চলার চেষ্টা করে। তা নাহলে মাননীয়প্রধানমন্ত্রীর দরবারে এই আর্জি জানালে আপনাকে ফিরিয়ে দিবে না এটা আমি হলফ করে বলতে পারি।
দেশের বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা সহ সকল শিক্ষা হবে এক এবং অভিন্ন।তা হলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হবে। এই আশা স্বাধীনতার ৫০বছরেও।
ধন্যবাদ মাননীয় মন্ত্রী মনোযোগ দিয়ে লেখাটা পড়ার জন্য।
তাইজুল ইসলাম
অধ্যক্ষ
গুঠিয়া আইডিয়াল ডিগ্রি কলেজ, বরিশাল।