আপডেট: মে ২১, ২০২১
চরফ্যাশন {ভোলা} প্রতিনিধি॥
করোনা দূর্যোগ মুহুর্তেই মেঘনা নদী অব্যাহত ভাঙনে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর ইউনিয়নের প্রায় ৮০ ভাগই নদীতে বিলীন হয়ে গেছে । বাস্তহারা হয়েছে প্রায় ১২ হাজার মানুষ । হুমকির মুখে পড়েছে পর্যটন কেন্দ্র তারুযার সমুদ্র সৈকত । ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে পুনর্বাসন করার দাবি উঠেছে ।
ভোলার সর্ব দক্ষিনে সাগর মোহনায় চরফ্যাসন উপজেলার ঢালচর ইউনিয়ন। এটি এক সময় চরফ্যাশন উপজেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ইউনিযন চর কুকরি মুকরি একটি ওযার্ড ছিল। দুর্গম এই চরাঅঞ্চল কে ২০১০ সালে নতুন ইউনিযনে রূপান্তর করেছে সরকার। কিন্তু মাত্র ১১ বছরে সে নতুন ইউনিয়ন মেঘনা নদী ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যাওযার পথে। ভাঙন কারনে ঢালচর ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, স্কুল মাদ্রাসা ভবনসহ ২০টি সরকারী স্থাপনা মেঘনা নদীতে বিলীন হয়েছে। এখানে পুলিশ ফাঁড়ি ছাড়া কোনা পাকা ভবন নেই, নেই সাইক্লোন শেল্টার।শুরুতে সরকারের বনভূমি ছাড়া এখানে বসতি ইউনিযন ছিল ২০ বর্গ কিলোমিটার । গত কয়েক বছরের নদী ভাঙ্গনে প্রায ১৮ কিলোমিটার চলে গেছে মেঘনার গভে র্।
ইউনিয়ন টির ৯ টি ওযার্ডের মধ্যে দুইটি অংশ বিশেষ সহ ঠিকই আছে বর্তমানে মাত্র তিনটি ওর্য়াড। ভিটেমাটি হারিয়েছে প্রায় ১২ হাজার মানুষ। ঢালচরের মানুষ ভাঙ্গন জনিত কারণে চরের ই অবশিষ্ট তিনটি ওযার্ডের আত্মীয-স্বজনের বাড়িতে গাদাগাদি করে থাকে। তাদের অন্যত্র থাকার কোন ব্যবস্থা নেই ।নদী ভাঙ্গন থেকে ঢালচর কে রক্ষা করার জন্য ইতিমধ্যেই ঢালচরে বসবাসকারী স্থানীয জনসাধারণ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের কে পুনর্বাসিত করার জন্য দাবি করেছেন স্থানীয জনপ্রতিনিধিরা।
ঢালচর ইউনিয়নের সচিব মোকাম্মেল হোসেন জানায় ইউনিয়ন পরিষদের ২০১১ সালে প্রায় ১২ হাজার পরিবার ছিল। ভাঙনের কারনে যা বর্তমানে ২০০০ এসে নেমেছে। এই জন্য ভোটার আছে ৪৭০০ জন। সচিব আরো জানায় ঢালচর মূলত ঝড় জঞ্জালের দ্বীপ। জোয়ার ও ভাঙন লেগেই আছে। তিন দিকে মেঘনার ভাঙনে ১১ বছর ধরে সাতটি ওয়ার্ড বিলীন হওয়ার পথে। ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু অংশ আছে। চলতি বছরে ১ হাজার ৫০০ একর জমি বিলীন হয়েছে।
নদী ভাঙ্গন থেকে এই দ্বীপচরকে রক্ষা করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছেন ভোলা পানি উন্নযন বোর্ড । তারা বলছে ভাঙ্গনরোধে আমরা ইতিমধ্যেই একটি পরিকল্পনা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। যদি প্রকল্প পাস হয় তাহলে আমরা অতি শীঘ্রই ঢালচরকে মেঘনা নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করার কাজে হাত দিতে পারবো। ঢালচরের দক্ষিণ প্রান্তে রয়েছে তারুয়া সমুদ্র সৈকত নদী ভাঙ্গন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে খুব শীঘ্রই মেঘনার নোনাজলে বিলীন হয়ে যাবে এই সমুদ্র সৈকত