আপডেট: মে ৩১, ২০২১
চরফ্যাশন প্রতিনিধি॥
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে, জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায় চরফ্যাশনের ৮ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল । গত ৫ দিনে এসব এলাকায় পানি কমে গেলেও মানুষের দুর্ভোগ কমেনি।ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত চরফ্যাশন উপজেলার পানিবন্দি কয়েক হাজার মানুষ ।
ইয়াসের প্রভাবে সাগরের ব্যাপক লবনাক্ত পানি ঢোকার কারণে এলাকার পানিবন্দি মানুষের মাঝে ডায়রিয়া, জ্বর, সন্দি-কাশিসহ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ দেখা দিয়েছে। ওই এলাকার অধিকাংশ গভীর নলকূপ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানিরও সংকট দেখা দিয়েছে। ঘুর্নিঝড় ‘ইয়াস’ পরবর্তী মেডিকেল ইফেক্ট ডাইরিয়া মোকাবিলায় জনসাধারনের মাঝে খাবার স্যালাইন ও ওয়াটার পিউরিফাইং ট্যাবলেট বিতরন । চরফ্যাশনের কুকরি-মুকরি,ঢালচর,চরপাতিলা,চরমানিকা,মুজিবনগর সহ রসুলপুর,নীলকমল,চর কলমীর বেড়ীবাঁধের বাহিরে ঘুর্ণিঝড় ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কিছু কিছু এলাকায় পানি কমলেও সর্বহারা হয়ে মানুষের চোখে অজানা হতাশ। প্রায় ৫ দিনের জোয়ারের পানিতে হাবুডুবু খেয়ে প্রকৃতির আক্রোশের সাথে লড়াই করা মানুষগুলোর চোখে মুখে এখনো ক্লান্তি ও আতংকের রেশ কাটেনি । তীব্র জলোচ্ছ্বাসে ফসলাধি,গবাদিপশু পাখি ও সহায়সম্বল ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়ায় বিধ্বস্ত ঘর ভিটায় অবস্থান নিয়ে সরকারি সাহায্যের আশায় দিনযাপন করছে এসব এলাকার পানিবন্দি মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত নীলকমল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর হাওলাদার সরকারে কাছে ক্ষতিগ্রস্ত ঘর মেরামতের ব্যবস্থা ও দ্রুত পর্যাপ্ত ত্রান সামগ্রী বরাদ্ধের অনুরোধ করেন। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে বিধ্বস্ত এসব জনপদে জেয়ারের পানিতে দেখা দিয়েছে লবনাক্ততা। সাগরের লবনাক্ত পানি ঢোকার কারণে এলাকার পানিবন্দি মানুষের মাঝে ডায়রিয়া, জ্বর, সন্দি-কাশিসহ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ দেখা দিয়েছে। ওই এলাকার অধিকাংশ গভীর নলকূপ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানির সংকটও দেখা দিয়েছে।
চর পাতিলার হাসেম হাওলাদার জানান, খাল, বিল সব মেঘনার জোয়ারের নোনা পানিতে তলিয়ে থাকায় খাবার পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। বহু পরিবার এখন করুন অবস্থা চর পাতিলা,ঢাল চর সহ বিভিন্ন দুর্গম চলাঞ্চলে। এসব চরের ঝড়ে বিধ্বস্ত এলাকার মানুষ বলছে, জরুরী পুনর্বাসন ছাড়া বিধ্বস্ত পরিবার গুলোর পক্ষ থেকে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব নয়।
চরফ্যাশন উপজেলারর চর কুকরি মুকরি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হাসেম মহাজন জানান, তার ইউনিয়নে বিধ্বস্ত এসব জনপদে জেয়ারের পানিতে দেখা দিয়েছে লবনাক্ততা। এতে করে এক দিকে যেমন বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট। তেমনি চর কুকরি মুকরিতে লবনাক্ত পানির কারনে পুকুরের মাছ ও গবাদি পশু মারা যাচ্ছে। তার ইউনিয়নের সব চাইতে ক্ষতি হয়েছে চর পাতিলা গ্রামে। সেখানে শতাধিক ঘর বাড়ি সম্পূর্ন বিধ্বস্ত হয়। এছাড়াও আংশিক ক্ষতি হয়ে ২ শতাধিক ঘর বাড়ি। এ পর্যন্ত প্রশাসনের কাছ থেকে শুধু মাত্র শুকনো মুড়ি শুকনো খাবার বিতরণ করেছে। এছাড়া ঘর বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে যাদের তাদের জন্য তেমন কিছু এখনো পায়নি বলেও জানান।ঢাল চর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম জানান, জোয়ারের পানি কমলেও দুর্ভোগ কমেনি। গবাদি পশু গরু ছাগল, মহিষ হাঁস মুরগির সব চাইতে ক্ষতি হয়েছে।চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানান, উপজেলার চরমানিকায় সরকারী ত্রাণ দেওয়া শুরু হয়েছে, দ্রুত পর্যায়ক্রমে অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সরকারি ত্রান কার্যক্রম শুরু হবে।