আজ ১০ আগস্ট মঙ্গোলবার বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ১০নং ওয়ার্ড কেডিসিতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট,বরিশাল মহানগর শাখার উদ্যোগে শ্রমজীবী মানুষদের সহযোগিতার জন্য ফ্রি করোনা টিকা রেজিষ্ট্রেশন বুথের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এই রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম সকাল দশটা থেকে শুরু হয়ে বিকাল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত পরিচালনা করা হয়। এ সময় ১০ নং ওয়ার্ড কেডিসি এলাকার গরীব দুঃস্থ ও শ্রমজীবী শতাধিক মানুষের টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করা হয়। এই রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশ্য হচ্ছে কেডিসি তে বসবাসরত গরীব দুঃস্থ শ্রমজীবী মানুষ যারা দিন আনে দিন খায় তারা যেন করোনার ভয়াল থাবা থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে । এদের হৃদয়ে কোন আক্ষেপ নেই কি? এরা কিভাবে ঐ ঝুপড়িওলা,ঘরের চালা ছিদ্র, বাক্সেরমতো রুমে ঠাসাঠাসি করে থাকে?দেশে মাথাপিছু আয় বেড়ে ২ হাজার ২২৭ মার্কিন ডলার হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় তা বছরে ১ লাখ ৮৮ হাজার ৮৭৩ টাকা।মাথাপিছু আয় যদি এতো হয় তাহলে ওদের ভাগের টাকা কোথায় লুকানো হয়? লেখা পড়া এদের সাথে কথা বলে না কারণ এদের তো টাকা নেই।
নতুন পোশাক ওদের থেকে দূরত্ব নিয়েই থাকে সবসময়ই, কারণ ওগুলো টাকা ছাড়া পাওয়া যায় না।
খাদ্যের তালিকায় দামী খাবার থাকতে চায় না। বলে ওরা আমাদের কিনে খাবার যোগ্যতা রাখে না, সত্যিই কি তাই? কি অমানবিক শ্রম দেয় ওরা তবুও একটু ভালো দামী খাবার ওদের পেটে যেতে চায় না কেন ?
এ সকল মানুষ অসুস্থ হলে ওদের পরে থাকতে হয় হাসপাতালের কোন এক নোংরা বেডে! ফিরে চায় না নার্সরাও কখন কখন! নিরাপত্তা ওদেরকে ভয় পায়, ওরা যে লরাই করে শুধু বাঁচার আনন্দকে পেতে। তাই ওদের থেকে নিরাপত্তা মাস্ক ও দূরত্ব নিয়েই থাকে।
বলে যাদের ৫টা মৌলিক অধিকার ঠিকঠাক নেই তাদের আমি নিরাপত্তা কিভাবে দিব! শুধু করোনার ভ্যাকসিন নিলে কি এরা করোনার ভয়াল থাবা হাত থেকে রক্ষা পাবে?
তারপরও মনকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য কেডিসি তে থাকা প্রত্যেকটি মানুষ অনেক আশা নিয়ে ভ্যাকসিন রেজিস্ট্রেশনের জন্য এসেছে এবং তাদের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করা হয়েছে ।