৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার

শিরোনাম
তেলবাহী লড়ি উল্টে গিয়ে আগুন লেগে এক জনের মৃত্যু। ভূমি বিষয়ক তথ্যাদি স্কুলের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করো হয়েছে-ভূমিমন্ত্রী মির্জা ফকরুলরা তারেক জিয়ার নির্দেশে জনগনের সাথে প্রতারনা ও তামশা করছে-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিগ বার্ড ইন কেইজ: ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার  ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ১ কোটি টাকার বৃত্তি ফান্ড গঠিত হাইকোর্টের রায়ে ডিন পদে নিয়োগ পেলেন যবিপ্রবির ড. শিরিন জয় সেট সেন্টার’ থেকে মিলবে প্রশিক্ষণ, বাড়বে কর্মসংস্থান: পীরগঞ্জে স্পীকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাদি মোহম্মদ আর নেই

ভোলার রাজাপুর ইউনিয়ন মেঘনার হুমকির মুখে 

আপডেট: আগস্ট ২৫, ২০২১

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

এম ইসমাইল, ভোলা সদর।।

দ্বীপ জেলা ভোলার চার দিকে নদী হওয়ায় এ জেলার মানুষের আতঙ্কের মধ্যেই দিন কাটে। নদী ভাঙ্গনের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে অসহায় হয়ে পরছে শতশত পরিবার। সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়া কম হয়নি এ জেলায়। নদী মাতৃক এ জেলায় নদীনালা ভাঙ্গনের কারনে উন্নয়নের সুফলগুলো বেশিরভাগই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এমনটাই দেখা যায় ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর, ইলিশা ভেদুরিয়া,বোরহানউদ্দিন, মনপুরা, লালমোহন,সহ ভোলা জেলার বিভিন্ন স্থানে। ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের তিন চারটি ওয়ার্ড বিলিন হয়ে গেছে।

বর্তমানে সাবেক ওয়ার্ডগুলো ভাগ করা হলেও সেই ওয়ার্ডগুলো চলমান ভাঙ্গনে বিলিনের পথে।

ভোলার সর্ব উত্তরে মেহেন্দিগঞ্জের সিমানাবর্তী বহমান মেঘনা নদীর ভাঙ্গনের কারনে এই মেঘনা নদীর তীরবর্তী রাজাপুর জোরখাল থেকে চর মোহাম্মদ আলী পর্যন্ত প্রায় কয়েক কিলোমিটার এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ নদী ভাঙনের তান্ডব চলতে থাকে। দীর্ঘ ১০ বছরের ও বেশি সময় ধরে মেঘনার ভাঙ্গন তান্ডব অব্যাহত রয়েছে। সংস্কার না হওয়ায়, বড় হচ্ছে রাক্ষসী মেঘনা আর ছোট হচ্ছে বিশাল আয়তনের রাজাপুর।ইতিমধ্যে এখানকার অসহায় মানুষগুলো হারিয়েছে তাদের বসতভিটাসহ আবাদি জমি।বর্তমানে নদীর তীরবর্তী যে সব পরিবার বসবাস করছে তাদের দিন কাটাচ্ছে চরম আতংকের মধ্যে। মেঘনা নদীর ভাঙ্গনের ফলে, নদী সংলগ্ন জোরখাল জামে মসজিদ, চর মোহাম্মদ আলী স্কুল, কোড়ালিয়া স্কুল, রাস্তা, বসতবিটা ও ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলীন এর পথে। অনেক পরিবার নদীগর্ভে সহায় সম্পত্তি হারিয়ে অসহায়ত্বের জীবন যাপন করছে। কান্নাজড়িত কন্ঠে স্থানীয় আয়েশা খাতুন বলেন নদীগর্ভে বিলিন হয়ে আমরা আজ পথের ভিখারী।

২নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মাসুদ রানা গণমাধ্যম কর্মীদেরকে বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ মেঘনার ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে।স্থায়ীভাবে নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা করার ব্যবস্থা গ্রহণ না হওয়ায় বর্তমানে রাজাপুর ইউনিয়ন হুমকির মুখে। তিনি বলেন আমাদের ভোলা জেলার অভিভাবক সাবেক বানিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এমপির মাধ্যমে এ জেলার উন্নয়ন করেছেন। এখানে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা মসজিদ যা এখন নদী ভাঙ্গনের হুমকির মুখে। কিন্তু এ উন্নয়নের সুফল আস্তে আস্তে কেড়ে নিচ্ছে রাক্ষসী মেঘনা নদী। বর্তমানে মেঘনার ভাঙ্গন আগের চেয়ে অনেক বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে অসহায় মানুষগুলো সহায় সম্পত্তি হারিয়ে অসহায়ত্বের জীবন যাপন করছে। এলাকাবাসীর জোড় দাবী মেঘনা নদীর ভাঙ্গনকে স্থায়ীভাবে ব্লকের মাধ্যমে বন্ধ করে রাজাপুর বাসিকে রাক্ষসী মেঘনার হাত থেকে রক্ষা করার।

তাছাড়া দক্ষিণ ইলিশায় পূর্বে ভাঙ্গন প্রকোপ বেশী থাকলেও এখন অনেকটা কম। রাজাপুর এলাকায় ভাঙ্গনের ফলে স্থানীয় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলার ঐতিহ্যবাহী রাজাপুর ইউনিয়নের কয়েকটা গ্রাম, বাজার কয়েক বছর আগেও জাকজমকপূর্ণ ছিল যা আজ শুধুই স্মৃতি।

কিন্তু বর্তমানে সর্বনাশা মেঘনার ভাঙনের মুখে অনেকটাই চারদিকের পরিবেশ যেন নিস্তব্ধ হয়ে পরেছে। মেঘনার ভয়াল ছোবলে বিলীন হওয়ার পথে এর গুরুপ্তপূর্ণ স্থাপনা। ইতোমধ্যে বহু পরিবার গৃহহারা হয়ে নিঃস্ব হয়েছে, কেউ আবার ভাঙনের শিকার হয়ে অসহায় হয়ে পরেছে।ঘর তোলার মত অবস্থাও তাদের নেই।

স্থানীয়রাবলেন,বর্ষা মৌসুমে অনেক বেশি পরিবারের মানুষ নদী ভাঙনের হুমকিতে পড়েছেন। এদের মধ্যে অনেকের ৩-৪বার ভাঙনের মুখে পড়েছেন। নতুন করে ঘর তোলার সামর্থ্য নেই তাদের।

পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অসহায় অবস্থা নদীর কূলে বসবাস করে আসছে অনেকেই। তারা জানান, আমরা ভয়ের মধ্যে থাকি কখন নদী এসে সব ভেঙে নিয়ে যায়, রাতেও ঠিকমত ঘুমাতে পারিনা। আজ এখানে আছি তো কাল থাকতো পারবো কি না জানিনা।

এদিকে, ইতোমধ্যে বহু পরিবার গৃহহারা হয়ে নিঃস্ব হয়েছে, কেউ আবার ভাঙনের শিকার হয়ে অসহায় অবস্থায় রয়েছেন। আর তাই ভয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে তাদের।

দ্রুত ভাঙন ঠেকানো না গেলে রাজাপুরের চর মোহাম্মদ আলী স্কুল, কোড়ালিয়া স্কুল, রাজাপুর বাজারসহ বেশ কয়েকটি স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ ও মাছঘাটসহ গুরুপ্তপূর্ণ স্থপনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে বলে জানান এলাকাবাসী।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
     
Website Design and Developed By Engineer BD Network