আপডেট: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২১
পদ্মা-যমুনা-ব্রহ্মপুত্রসহ দেশের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে বন্যা পরিস্থিতি আরো আবনতি হয়েছে। কুড়িগ্রাম, ফরিদপুর, সিরাজগঞ্জসহ কয়েক জেলায় পানিবন্দি কয়েক লাখ মানুষ।
আটটি নদীর পানি ১৯টি পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। দেশের উত্তর, উত্তর-মধ্যাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলের ১১ জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি-পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায়ও অব্যাহত থাকতে পারে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র গতকাল নদ-নদীর অবস্থার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
সেইসঙ্গে কয়েকটি জেলায় অব্যাহত আছে তীব্র নদী ভাঙন। ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র তীরবর্তী উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী উপজেলার তিন শতাধিক চরের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি রয়েছে।
এদিকে চলমান বন্যায় উত্তর-মধ্যাঞ্চলের জেলাগুলোর নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা পানিবন্দী অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এসব এলাকায় পানিতে তলিয়ে রয়েছে হাজার হাজার হেক্টর ফসলের জমি। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। হাঁস মুরগি ও গবাদিপশু নিয়ে দুর্গতরা পড়েছেন মহা দুর্দশায়। ধানসহ মৌসুমি ফসলের ক্ষতিতে উৎকণ্ঠা বাড়ছে ক্ষতিগ্রস্তদের।
এছাড়া তিস্তা ও ধরলা নদী তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ফরিদপুরে বিপৎসীমার ৬৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে পদ্মার পানি। পানবিন্দি ৫০ হাজার পরিবারে এক লক্ষের বেশি। মধুমতি, আড়িয়াল খাঁর তীরে তীব্র ভাঙন অব্যাহত আছে।
সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি বিপদসীমার ৬৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিবন্দী রয়েছে অন্তত অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। এছাড়া টাঙ্গাইল, রংপুর, রাজবাড়ি, জামালপুর, নীলফামারীসহ বেশ কিছু জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।