আপডেট: অক্টোবর ১৭, ২০২১
আমতলী : পাওনা টাকা চাইতে যাওয়ায় অন্তঃসত্ত্বাসহ তিন নারীকে মালেক হাওলাদার ও তার সহযোগীরা পিটিয়ে জখম করেছে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত আনোয়ারা বেগম এমন অভিযোগ করেন। আহত আনোয়ারা বেগম, বিউটি বেগম ও অন্তঃস্বত্ত্বা লিয়ামনিকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে তালতলী উপজেলার ছোট ভাইজোড়া গ্রামে শনিবার রাতে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
জানাগেছে, তালতলী উপজেলার ছোটভাইজোড়া গ্রামের মালেক হাওলাদার প্রতিবেশী আনোয়ারা বেগম কাছ থেকে চার বছর আগে ২০ হাজার টাকা ধার নেয়। ওই টাকা গত চার বছরে ফেরত দেয়নি এমন অভিযোগ আনোয়ারা বেগমের। শনিবার বিকেলে আনোয়ারা বেগমের বৃদ্ধা মা তারাভানু ওই টাকা চাইতে মালেকের কাছে যায়। মালেক টাকা না দিয়ে বৃদ্ধা তারাভানুকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে তাড়িয়ে দেন। বৃদ্ধা মাকে গালাগালের বিষয়টি জানতে আনোয়ারা বেগম ওইদিন রাত ১০ টার দিকে মালেকের বাড়ীতে যান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মালেক হাওলাদার, তার ছেলে রুবেল, আলি আহম্মদ ও মাসুম আনোয়ারাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। তাকে রক্ষায় তার ছোট বোন বিউটি বেগম ও বোনের মেয়ে ছয় মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা লিয়ামনি এগিয়ে আসলে তাদেরকে বেধরক মারধর করেছে। স্বজনরা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
গুরুতর আহত আনোয়ারা বেগম বলেন, চার বছর আগে মালেক হাওলাদার আমার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ধার নেয়। ওই টাকা না দিয়ে ঘুরাতে থাকে। শনিবার বিকেল মা ওই টাকা চাইতে গেলে মাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। আমি জেনে মাকে গালাগাল করায় বিষয়টি জানতে গেলে আমাকে পিটিয়ে চোখ, ঠোট, মুখমন্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন স্বানে গুরুতর যখম করেছে। আমাকে রক্ষায় আমার ছোটবোন ও অন্তঃস্বত্ত্বা বোনের মেয়ে এগিয়ে আসলে তাদেরও মারধর করেছে। আমরা গবীর মানুষ আমাগো কি মান সম্মান নেই। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
বড়বড়ী ইউপি সদস্য মোঃ খালেদ মাসুদ বলেন, মালেক হাওলাদারের কাছে আনোয়ারা বেগম টাকা প্য়া। ওই টাকা চাইতে যাওয়ায় আনোয়ারা ও তার পরিবারের লোকজন মারধরের শিকার হয়েছেন।
এ বিষয় মালেক হাওলাদারের ছেলে রুবেল মুঠোফোনে পাওনা টাকা ও মারধরের কথা স্বীকার করে বলেন, আনোয়ারা বেগমের বোন বিউটি বেগম আমার দাদীকে মারধর করেছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ হিমাদ্রী রায় বলেন, আহত আনোয়ারা বেগমের চোখ, ঠোট ও মুখমন্ডলসহ বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখমের চিহৃ রয়েছে। তাকেসহ অপর আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
তালতলী থানার ওসি মোঃ কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। আহতরা থানায় এসেছিল তাদের চিকিৎসা পরামর্শ দেয়া হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।