আপডেট: ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯
বরিশাল নগরীর আবাসিক হোটেল এরিনা’র মদের বারে অভিযান চালিয়েছে মেট্রোপলিটন কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ। এসময় মদ্যপ অবস্থায় ৬২ জনকে আটক করা হয়। তবে এসময় পুলিশ মদ বা অন্য কোন নেশাজাতীয় দ্রব্য জব্দ করেছে কিনা তা জানা যায়নি। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হওয়া এই অভিযান রাত পৌনে ২টা পর্যন্ত অব্যাহত ছিলো।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁঞা, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল ইসলাম রাব্বি, সহকারী পুলিশ কমিশনার (কোতয়ালী) রাসেল আহম্মেদ, কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আসাদুজ্জামানসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
অভিযানের নেতৃত্ব দেয়া কোতয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সমিরন মন্ডল জানান, ‘সদর রোডস্থ হোটেল এরিনা’র মদের বারের লাইসেন্স রয়েছে। তবে নিয়মনীতি না মেনে অবৈধভাবে বার পরিচালনা করা হচ্ছিলো। এমন সংবাদের ভিত্তিতে ‘বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় কোতয়ালী মডেল থানার এসআই বশির আহমেদ, এসআই ফজলুল, এএসআই মাহবুব, এএসআই সুমন, এএসআই হুমায়ুন, এএসআই বিধান, এএসআই জুয়েল ও এএসআই রিয়াজকে সাথে নিয়ে ওই বারে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
পুলিশ সূত্র জানায়, সেখানে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। বারের নিয়ম অনুযায়ী যাদের মদ্যপানের লাইসেন্স রয়েছে তারাই কেবল এরিনার মদের বারে মদ পান করতে পারবে। কিন্তু প্রকৃত অর্থে আমরা ওই বারে যাদের পেয়েছি তাদের কাছে কোন লাইসেন্স বা মদ পানের অনুমতি নেই। তাছাড়া সেখানে অপ্রাপ্ত বয়স্ক থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সী মানুষ এক সঙ্গে বসে মদ পান করছিলো।
এসআই সমিরন মন্ডল বলেন, ‘এই বারের মালিক বরিশাল জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সদস্য সচিব ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিকুল আলম গুলজার। যেভাবে মদ বিক্রির নিয়ম রয়েছে তা অনুসরণ করেনি বার কর্তৃপক্ষ। এই কারনে ঘটনাস্থলে মদ্যপ অবস্থায় থাকা বিভিন্ন বয়সের ৬২ জনকে আটক করে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ঘটনাস্থলে থাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আতাউল ইসলাম রাব্বি বলেছেন, ‘আটককৃত’র সংখ্যা অনেক। তাই এদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সময় লাগবে। বিধিমোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তাছাড়া বারের মালিক এবং বার পরিচালনের বিষয়ে সকল বৈধ কাগজপত্র যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। যেহেতু বার কর্তৃপক্ষ নিয়ম মানেনি, তাই সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধেও বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল ইসলাম রাব্বি। যদিও অভিযানে থাকা পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, ‘বারে আটক হওয়া ৬২ জন মদ্যপকেই আইন অনুযায়ী সাজা প্রদান করা হতে পারে।