২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

শিরোনাম
তেলবাহী লড়ি উল্টে গিয়ে আগুন লেগে এক জনের মৃত্যু। ভূমি বিষয়ক তথ্যাদি স্কুলের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করো হয়েছে-ভূমিমন্ত্রী মির্জা ফকরুলরা তারেক জিয়ার নির্দেশে জনগনের সাথে প্রতারনা ও তামশা করছে-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিগ বার্ড ইন কেইজ: ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার  ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ১ কোটি টাকার বৃত্তি ফান্ড গঠিত হাইকোর্টের রায়ে ডিন পদে নিয়োগ পেলেন যবিপ্রবির ড. শিরিন জয় সেট সেন্টার’ থেকে মিলবে প্রশিক্ষণ, বাড়বে কর্মসংস্থান: পীরগঞ্জে স্পীকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাদি মোহম্মদ আর নেই

কীর্তণখোলা নদীতে প্রতিদিন পড়ছে ৬ মন ময়লা-আবর্জনা

আপডেট: জানুয়ারি ৫, ২০২০

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

সাঈদ পান্থ
ব্যাপক দূষণের কবলে পরেছে বরিশালের কীর্তণখোলা নদী। বরিশালের প্রান হিসেবে খ্যাত এই নদীতে দেদারছে ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জণা। যাতে করে নদীর তলদেশে ময়লার স্তূপ জমে যাওয়ার আশংকা করছেন পরিবেশবিদরা।
জানা গেছে, প্রতিদিন বরিশাল থেকে ঢাকা নৌ রুটে প্রায় ২০টি লঞ্চ চলাচল করে। এতে যাত্রী সংখ্যাও থাকে স্বাভাবিক প্রায় ৫০ হাজারের অধিক। লঞ্চ বরিশাল নদী বন্দরে ফেরার পর লঞ্চে থাকা ময়লা আবর্জনা পরিচ্ছন্ন কর্মীরা কীর্তণখোলা নদীতে ফেলে। যাতে করে দূষণ বৃদ্ধি পাচ্ছে এই নদীতে। প্রতি যাত্রী গড়ে ৫ গ্রাম করে চিপস, বিস্কুট, চকলেট, বিভিন্ন পন্যের প্যাকেট, পলিথিন, পানির বোতল, কোমল পানীয়র বোতল, চা-কফির কাপ ফেলছে। যা হিসেব করলে ২৫০ কেজি হয়। সেক্ষেত্রে ৬ মনের বেশি ময়লা আর্বজনা নদীতে ফেলা হচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছে, নদীর আশ পাশে থাকা বাজারগুলো থেকে প্রতিনিয়ত বর্জ্য ও ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয় কীর্তণখোলা নদীতে। যে বিষয়টা সম্পর্কে নিষেধাজ্ঞা করা হলেও তা কেউ মানছে না বলে জানিয়েছেন অনেকে।
তবে বরিশাল জেলা প্রশাসক বলছেন পূর্বের থেকে এই নদীতে দূষণের মাত্রা অনেক কমেছে।
লঞ্চের স্টাফরা জানিয়েছেন, ময়লাগুলো নদীতেই ফেলা হয়। তারা পূর্বে থেকেই এই ভাবেই লঞ্চ পরিষ্কার করে থাকেন বলে দাবী করেছেন।
নদী-খাল বাঁচাও আন্দোলন কমিটির সদস্য সচিব এনায়েত হোসেন শিবলু জানান, আগামী প্রজন্ম কীর্তণখোলা নদীকে বুড়িগঙ্গার মত দেখবে। নদীর প্রতি অবিচার করছি আমরা। কীর্তণখোলা নদীটি ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য। এই নদী বরিশালের জীবন। প্রশস্তে এক কিলোমিটার থাকলেও এর আয়তন কমে যাচ্ছে। আগে যেভাবে লঞ্চ স্টিমার স্বাভাবিক ভাবে আসতো বা যেতো কিন্তু এখন সেটা পারছে না। প্রতিদিন বিশাল আকৃতির জাহাজগুলোর কর্মকর্তারা দায়িত্ব ঠিক ভাবে পালন করে না। ১০ গুন যাত্রী বহন করে। এতে করে যে মানুষ আসা যাওয়া করে তাদের ফেলানো ময়লা আবর্জনা সব নদীতে ফেলা হয়। আমার ধারণা আবর্জনার স্তূপ হঠাৎ করে নদীর মধ্যে জেগে উঠতে পারে। ঢাকা-বরিশাল এবং ভায়ার লঞ্চগুলোতে প্রচুর যাত্রী যাতায়াত করে। আমরা দেখছি খালে পানি যাচ্ছে না। আবর্জনার কারণে মৎস্য সম্পদ নষ্ট হচ্ছে। এখানে অনেক জেলে একটা সময় মাছ ধরতো কিন্তু এখন তাদের দেখা যায় না। নিচের স্তুর উচু হয়ে যাওয়ায় নদী ভাঙনও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পরিবেশবাদী সংগঠন বেলা’র বরিশাল আঞ্চলিক সমন্বয়ক লিংকন বায়েন বলেন, প্রতিদিনই লঞ্চের যত ময়লা আবর্জনা সহ নদীর পাশে যে বাজারগুলো রয়েছে সেখান থেকেও কীর্তণখোলায় বর্জ্য ফেলা হয়। শুধু তাই নয় খালগুলো থেকে আবর্জণা নদীতে আসে। এছাড়াও নৌ যান ডুবলেও নদী দূষণের মাত্রা বেরে যায়। এই দূষণ রোধে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন, জেলা প্রশাসন বা পরিবেশ অধিদপ্তর কার্যকরী কোনো ভূমিকা রাখতে পারে না। সিটি কর্পোরেশনের ডাম্পিং এলাকা রয়েছে, বর্ষা কালে বিশেষ করে এই ময়লাগুলো সাপানিয়া খাল হয়ে কীর্তণখোলায় এসে পৌছায়। এই ময়লা প্রসেসিং করার কোনো সিস্টেম বরিশালে নেই। অনেক সময় অনেক নেতা নানা বুলি জনগনের কাছে বলে। কিন্তু আমরা হতাশ। মূলত বরিশালের এই প্রান রক্ষায় কারোই কোনো ভূমিকা নেই।
বরিশাল জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান জানান, লঞ্চগুলোতে ডাস্টবিন থাকে। ময়লা আবর্জনা ডাস্টবিনে ফেলা হয়। পূর্বের থেকে দূষণ অনেক কমেছে। আরো কমবে বলে আশাবাদী।##

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
     
Website Design and Developed By Engineer BD Network