আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২০
আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবস
আগামীকাল আন্তাজার্তিক মাতৃভাষা দিবস।
১৯৫২ সালে রাষ্ট্রভাষা বাংলা’র দাবিতে এ দেশের দামাল ছেলেরা যুদ্ধ করে বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে অর্জন করেছে প্রিয় মাতৃভূমি সোনার বাংলাদেশের বাংলাভাষা।
সেই ভাষা শহীদদের স্মৃতি স্মরণে মূলত প্রতিবছর ২১শে ফেব্রæয়ারী আন্তজার্তিক ভাবে মাতৃভাষা দিবস হিসেবে সারা বিশ্বে পালিত হয়।
বাংলাদেশে এটিকে শোক দিবস হিসেবে স্মরণ করে।
যার ফলে সারা দেশে ভাষা শহীদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতি¯Íম্ভ শহিদ মিনারে পূষ্প¯Íবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
তবে বরগুনার বেতাগীতে এদিনটিতে দেখা যায় সম্পূর্ণ ভিন্নচিত্র।
উপজেলা পর্যায়ের বেশ কিছু শিÿা প্রতিষ্ঠান ছাড়া ইউনিয়ন পর্যায়ের প্রতিষ্ঠান গুলোতে প্রাচীন নিয়মে কলাগাছ কেটে এ দিনের জন্য শহীদ মিনার তৈরী করে এ দিবসটি পালন করা হয়।
বেতাগী উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নি¤œ মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, মাদ্রাসা ও কলেজ মিলিয়ে ১৯২টি শিÿাপ্রতিষ্ঠান রয়ে এর মধ্যে দেড় শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই কোনো শহীদ মিনার নেই।
ভাষা আন্দোলনের পরবর্তী ৬৮ বছরের মধ্যে স্থাপিত হয়নি কোন শহীদ মিনার।
উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় ১৩৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৫টি মাধ্যমিক, ২১টি (মাদ্রাসা,নি¤œ মাধ্যমিক) ১০টি কলেজ এর মধ্যে মাত্র ৪০টিতে শহীদ মিনার রয়েছে এবং বাকি ১৫২টিতে কোনো শহীদ মিনার নেই।
এ ব্যাপারে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুর রহমান’র কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান স্ব স্ব শিÿাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা অস্থায়ী বেদি তৈরি করে শহীদ দিবস পালন করে।
আগামীতে পর্যায়ক্রমে শিÿাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হবে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গির আলম জানান এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
খুব শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাজিব আহসান বলেন, সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের দান-অনুদানে কয়েক মাসের মধ্যেই শিÿাপ্রতিষ্ঠনে শহীদ মিনার নির্মাণের জোর চেষ্টা করা হবে।