আপডেট: মার্চ ২৯, ২০২০
কোটি কোটি টাকা মুনাফা কামাচ্ছে সনি মিউজিক ইন্ডিয়া।
অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ ও বাদশার ব্যাঙ্ক ব্যালেন্সও বাড়ল।
কী পেলেন রতন কাহার? তার নামটাও নেই।
কেন?
সেই প্রশ্নই উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
২৭ মার্চ প্রকাশ হয়েছে বাদশার গাওয়া ‘গেন্দা ফুল’ শিরোনামের গান।
এখানে ইউএসপি একটাই- ‘বড়লোকের বিটি লো, লম্বা লম্বা চুল, এমন মাথা বিন্ধে দিব, লাল গেন্দা ফুল।’
গানটি বেশ আলোচনায় এসেছে।
মাত্র একদিনেই এটি দেখেছেন ৩২ মিলিয়ন দর্শক।
সেখানে বলা হয়েছে, গীতিকার ও গানের মূল মালিকের নাম দিলেই তো রয়্যালটির টাকা দিতে হবে। তারচে না দেয়াই ভালো।
যার দিন আনতে পান্তা ফুরায়, সে তো আর স্বত্ত্বাধিকার চেয়ে আদালতে যেতে পারবে না।
তাই শুধু লিখে দেওয়া হল, ‘বাংলার লোকগীতি’।
তবে শুধু বাদশা নন, বাংলার বহু শিল্পীই রতন কাহারের গান গেয়ে সুনাম অর্জন করেছেন।
কিন্তু, স্রষ্টাকে কৃতিত্ব দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি তারা কেউ।
১৯৭৬ সালে ‘বড়লোকের বিটি লো’ গেয়েছিলেন স্বপ্না চক্রবর্তী৷
শুরুতেই মেগা হিট হয়েছিল সেই গীত।
গানটি ১৯৭২ সালে লিখেছিলেন সেদিনের তরুণ রতন কাহার।
তার পরিচয় তিনি নিজেই-‘মু মুখে পান, হাতে চুন, এই নিয়ে মানভূম, আমার ভাদুর বাড়ি, সিউড়ি, জেলা বীরভূম’।
ভাদু গানে তার অবাধ বিচরণ।
তবে ঝুমুর, লোকগান, প্রভাতী কীর্তনেও রতন কাহারের তুলনা নেই।
এমন গুণী মানুষের সঙ্গী কিন্তু নিত্য অভাব।
বিঁড়ি বেঁধে সংসার চালিয়েছিলেন।
এখন ভরসা বলতে, এদিক-ওদিক দু-চারটে অনু্ষ্ঠান, আর সরকারি ভাতা।
অভাবে পিষ্ট এমন একজন গুণি মানুষকে বঞ্চিত করে সনি মিউজিকের এই অসাধুতা এবং শিল্পীর এই ইচ্ছেকৃত উদাসীনতা কাম্য নয় বলে দাবি করছেন সবাই।