আপডেট: এপ্রিল ৩০, ২০২০
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্র জানায়, উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের দত্তগ্রামের আবু ছাঈদের মেয়ে লাকী আক্তারের (২০) সাথে গত চার বছর আগে প্রেম করে বিয়ে হয় চাচাতো ভাই আহমেদ আলীর ছেলে এমদাদুল হকের সঙ্গে।
দাম্পত্য জীবনে তাঁদের দুই বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
এর মধ্যে দুই জনের মধ্যে পারিবারিক ঘটনা নিয়ে মনোমালিন্য ছাড়াও আর্থিক টানাপোড়েন দেখা দেয়।
এক পর্যায়ে লাকী একতরফাভাবে স্বামী এমদাদুলকে তালাক দিয়ে ঢাকায় চলে যায়।
পরে এমদাদুল ঢাকায় গিয়ে স্ত্রীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে আবারো সংসার পাতার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
এরমধ্যে গত মঙ্গলবার সকালে লাকী ঢাকা থেকে পাঁচ মাস পর বাড়িতে এসে নিজের সন্তানকে নিয়ে স্বামীর ঘরের পাশে একটি ঘরে অবস্থান করছিলেন।
খবর পেয়ে এমদাদুল হক ধারালো ছোরা নিয়ে স্ত্রী লাকী আক্তারকে একের পর এক আঘাতে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
পরে পুলিশ এমদাদুলের মা-বাবাকে আটক করে থানায় নেয়।
হত্যাকারী এমদাদুলের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় সন্ধান চালায় পুলিশ।
এক পর্যায়ে গত বুধবার রাত তিনটার দিকে নান্দাইলের গাঙাইল ইউনিয়নের নৌশতি গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মোখলেছুর রহমান জানান, ‘খুন করে এমদাদুল প্রথমে নান্দাইলের কানুরামপুর নামক এলাকার একটি মসজিদে প্রবেশ করে গা ঢাকা দেয়। সেখান থেকে নৌশতি গ্রামের আত্মীয়ের বাড়িতে অবস্থান করছিলো।
থানায় নিয়ে আসার পর প্রাথমিকভাবে সে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’