২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

শিরোনাম
তেলবাহী লড়ি উল্টে গিয়ে আগুন লেগে এক জনের মৃত্যু। ভূমি বিষয়ক তথ্যাদি স্কুলের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করো হয়েছে-ভূমিমন্ত্রী মির্জা ফকরুলরা তারেক জিয়ার নির্দেশে জনগনের সাথে প্রতারনা ও তামশা করছে-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিগ বার্ড ইন কেইজ: ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার  ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ১ কোটি টাকার বৃত্তি ফান্ড গঠিত হাইকোর্টের রায়ে ডিন পদে নিয়োগ পেলেন যবিপ্রবির ড. শিরিন জয় সেট সেন্টার’ থেকে মিলবে প্রশিক্ষণ, বাড়বে কর্মসংস্থান: পীরগঞ্জে স্পীকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাদি মোহম্মদ আর নেই

টনসিল সমস্যা ও করণীয়

আপডেট: জানুয়ারি ১৯, ২০২১

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

শীতে ঠাণ্ডা লাগা ও ঠাণ্ডাজনিত রোগ হওয়া খুবই স্বাভাবিক। এ সময় অনেকের টনসিলের সমস্যা দেখা দেয়।

টনসিল বাড়লে ঢোক গিলতে গেলে কষ্ট হয়। মুখ-গলা, নাক, কান দিয়ে শরীরের অভ্যন্তরে জীবাণু প্রবেশে বাধা দেয় এই টনসিল। তাই টনসিল আক্রান্ত হলে জীবাণুর প্রকোপ বাড়ে, বাড়ে অন্যান্য অসুখের ভয়ও।

টনসিল কী?

টনসিল হলো আমাদের শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থার একটি অংশ এবং আমাদের মুখের ভেতরেই চারটি গ্রুপে তারা অবস্থান করে। এদের নাম লিঙ্গুয়াল, প্যালাটাইন, টিউবাল ও অ্যাডেনয়েড। এই টনসিলগুলোর কোনো একটির প্রদাহ হলেই তাকে বলে টনসিলাইটিস। টনসিল বলতে আমরা সচরাচর যা বুঝি, তা কিন্তু আসলে টনসিলাইটিস। টনসিলাইটিস যে শুধু শিশুদের হয়, তা নয়। এটি শিশুদের বেশি হলেও যে কোনো বয়সেই হতে পারে।

এই রোগের কারণ

পুষ্টির অভাব, আইসক্রিম, ফ্রিজে রাখা শীতল পানি পান করা, স্যাঁতসেঁতে স্থানে থাকা এই রোগের কারণ। পাশাপাশি শীতে এই রোগের প্রকোপ বেশি দেখা দেয়।

টনসিলের লক্ষণ

তীব্র গলাব্যথা, মাথাব্যথা, খাবার খেতে কষ্ট, মুখ হাঁ করতে অসুবিধা, কানে ব্যথা, মুখ দিয়ে লালা বের হওয়া, কণ্ঠস্বর ভারি হওয়া ও মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়া।

এ ছাড়া স্বরভঙ্গ, গলায় ঘাসহ টনসিল স্ফীতি, ঢোক গিলতে কষ্ট হয়, গলা ফুলে যাওয়া।

চিকিৎসা

টনসিলের সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

এ ছাড়া চাহিদামাফিক পানি পান করা, সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে। মুখের হাইজিন (মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য) বা ওরাল হাইজিন ঠিক রাখতে হবে। এটিকে মাউথ ওয়াশ বলা হয়, যা দিয়ে বারবার কুলি করতে হবে।

সাধারণ স্যালাইন বা লবণ মিশ্রিত গরম পানি দিয়ে বারবার কুলি করতে হবে। লেবু বা আদা চাও খেতে পারেন। গলায় ঠাণ্ডা লাগানো যাবে না।

যেহেতু তীব্র ব্যথা থাকে এবং জ্বর থাকে, সে ক্ষেত্রে জ্বরের ওষুধসহ কিছু ওষুধ দেওয়া হয় এবং এটা ব্যাকটেরিয়াজনিত ইনফেকশন হলে চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হতে পারে। ওষুধ নিয়মিত খেলে ব্যাকটেরিয়া সম্পূর্ণ মুক্ত হয়ে যায় এবং রোগী সুস্থ হয়ে ওঠে।

লেখক: ডা. মো. আবদুল হাফিজ শাফী
বিসিএস (স্বাস্থ্য)
নাক-কান-গলা বিভাগ
বিএসএমএমইউ(প্রেষণে), ঢাকা।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
     
Website Design and Developed By Engineer BD Network