৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার

শিরোনাম
তেলবাহী লড়ি উল্টে গিয়ে আগুন লেগে এক জনের মৃত্যু। ভূমি বিষয়ক তথ্যাদি স্কুলের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করো হয়েছে-ভূমিমন্ত্রী মির্জা ফকরুলরা তারেক জিয়ার নির্দেশে জনগনের সাথে প্রতারনা ও তামশা করছে-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিগ বার্ড ইন কেইজ: ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার  ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ১ কোটি টাকার বৃত্তি ফান্ড গঠিত হাইকোর্টের রায়ে ডিন পদে নিয়োগ পেলেন যবিপ্রবির ড. শিরিন জয় সেট সেন্টার’ থেকে মিলবে প্রশিক্ষণ, বাড়বে কর্মসংস্থান: পীরগঞ্জে স্পীকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাদি মোহম্মদ আর নেই

আমতলীতে প্রচন্ড তাপদাহ রবি ফসলের ব্যপক ক্ষতি

আপডেট: এপ্রিল ১৬, ২০২১

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
বরগুনার আমতলী উপজেলায় প্রচন্ড তাপদাহে রবি ফসলের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। তাপদাহে রবি ফসল পুড়ে গেছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানাগেছে,এ বছর চিনাবাদাম ৪২৫, মরিচ ৪৫০, খেশারী ৫ হাজার, মুগ ১০ হাজার ২৫০, মসুর ২০, ছোলা ২৫ ও ফেলন ৯৬ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। গত তিন মাস ধরে বৃষ্টি নেই।অনাবৃষ্টির কারনে প্রচন্ড তাপদাহে রবি ফসলের ক্ষেত পুড়ে ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। এতে রবি ফসলের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে।
শুক্রবার সরেজমিনে আঠারোগাছিয়া, কুকুয়া, চাওড়া ও হলদিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখাগেছে চিনা বাদাম, মুগডাল, ফেলন, মুসুরী ডাল, খেশারী ও মরিচ ক্ষেতের মাটি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। প্রচন্ড তাপদাহে অনেক ক্ষেতের ফসল পুড়ে গেছে। পানির অভাবে গাছ থেকে ফলন বের হতে পারছে না। কুকুয়া গ্রামের কৃষাণী মোসাঃ ফরিদা বেগম বলেন, ১৮ শতাংশ জমিতে মুগডাল চাষ করেছিলাম তা পুড়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, পানির অভাবে গাছ থেকে ফলন বের হতে পারছে না।
একই এলাকার জসিম বয়াতি ও ইসমাইল বলেন, প্রচন্ড রোধের তাপে সব পুড়ে চৌচির হয়ে গেছে।
আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাখালী গ্রামের আলমগীর মিয়া বলেন, ৫০ শতাংশ জমিতে বাদাম চাষ করেছিলাম। কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ায় রোধে পুড়ে গেছে।
কাউনিয়া গ্রামের কৃষক আল আমিন বলেন, ৪০ শতাংশ জমিতে মুগডাল চাষ করেছি। গাছ ভালো হয়েছিল কিন্তু বর্তমানে প্রচন্ড রোধে ফলন বের হতে পারছে না। এ বছর লাভতো দুরের কথা আসলই উঠবে না।
আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ঘোপখালী গ্রামের আফজাল হোসেন বলেন, প্রচন্ড তাপে সবপুড়ে তছনছ হয়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, গরমে মাটি চৌচির হয়ে গিয়েছে।
চন্দ্রা পাতাকাটা গ্রামের দুলাল মোল্লা বলেন, ২০ শতাংশ জমিতে চিনা বাদাম চাষ করেছিলাম কিন্তু গরমে গাছ পুড়ে গেছে।
আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার সিএম রেজাউল করিম বলেন, প্রচন্ড তাপদাহে মাটির নিচে জমানো পানি শুকিয়ে ক্ষেতে লবনাক্ততা দেখা দিয়ে গাছ পুড়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, অনাবৃষ্টি ও কৃষক সঠিক সময়ে সেচ দিতে না পারায় এ বছর কাঙ্খিত ফলন পাবে না।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
     
Website Design and Developed By Engineer BD Network