আপডেট: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২১
বরিশাল ব্যুরো
প্রায় ২০ মাস বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের অর্থনৈতিক অবস্থার ভঙ্গুর দশা। প্রতিষ্ঠানে কোন আয় নেই অথচ স্বাভাবিক সময়ের চেয়েও ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন অফিসে বিভিন্ন ধরনের তথ্য প্রেরণ, অনলাইন যোগাযোগ, অফিস খরচের বাইরেও প্রতি বছর শিক্ষা বোর্ডের স্বীকৃতি নবায়ন, গ্রুপ ও সাবজেক্ট অনুমোদন ও নবায়ন, নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটি গঠনের সুযোগ না থাকায় দু বছর মেয়াদের নিয়মিত কমিটির স্থলে ৬ মাস অন্তর এডহক কমিটি গঠন ইত্যাদিতে ৪ হাজার টাকা করে ফি বাবদ প্রচুর অর্থ ব্যয় হচ্ছে। বিভিন্ন খাতে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের অন্যায্য ফি আদায় করছে তা বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটি গঠন না হওয়া পর্যন্ত এডহক কমিটির মেয়াদ স্বয়ংক্রিয় ভাবে বৃদ্ধি করার দাবী করেছে বরিশালের শিক্ষক সমাজ। মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির আঞ্চলিক শাখার আয়োজনে সংবাদ সম্মেলনের এসব অভিযোগ করেন শিক্ষকরা।
তারা এসময় শিক্ষা জাতীয়করণ, করোনাকালীন ক্ষয়-ক্ষতি পূরণের জন্য প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রণোদনামূলক আর্থিক বরাদ্দ, জনবল কাঠামোর বহির্ভূত অতিরিক্ত শিক্ষক চাহিদা দাখিলের অভিযোগে দেশের প্রায় দুই সহস্র শিক্ষকের ৩ মাসের বেতন কর্তণের আদেশ প্রত্যাহার করার দাবী জানান। সমিতির সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ লিখিত বক্তব্যে বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দেশের অর্থনীতি সচল রাখা এবং শিক্ষক কর্মচারিদের সরকার প্রদত্ত বেতন নিয়মিত প্রদান করায় জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।
বিশ মাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পরও অনেক প্রতিষ্ঠানে জরুরী সংস্কার ও মেরামত, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার অনুকুল পরিবেশ তৈরি ইত্যাদি ক্ষেত্রেও জরুরী অর্থের প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা দাশ গুপ্ত আশীষ কুমার, সহ সভাপতি আব্দুল মালেক, সুনীল বরণ হালদার, সমিতির জেলা কমিটির সভাপতি শফিকুর রহমান, রফিকুল ইসলাম, আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক আসাদুল আলম আসাদ, জহিরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, গোলাম কিবরিয়া, আলমগীর হোসেন, দিপালী বাইন, জুনায়েত হোসেন খান, বিথিকা চ্যাটার্জী, নিজামুল ইসলাম নিজাম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। ##