২০০৮ সালে তৎকালীন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী নকল প্রতিরোধের জন্য যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিলেন যে,কোন ছাত্র ছাত্রী তার নিজ ভ্যানুতে পরীক্ষা দিতে পারবে না। তাতে তিনি সফল হয়ে ছিলেন। তারপর আর নকল নামক বিষয় টি নেই। শহরের ভেতরে ভ্যানু পরিবর্তন কোন সমস্যা হয় না,কিন্তু গ্রামে ভ্যানু পরিবর্তন হয়,কলেজ থেকে স্কুলে।শিক্ষক আসে উপজেলার অন্য প্রতিষ্ঠানথেকে।
আমার প্রশ্ন হলো শহরে ভ্যানু পরিবর্তন হয়, শিক্ষক পরিবর্তন হয় না। আর উপজেলায় ভ্যানুও পরিবর্তন হয়, শিক্ষক ও পরিবর্তন হয়। এখানে দুই প্রকারে ক্ষতি হয়।
১.স্কুলে পরীক্ষার কারণে স্কুল বন্ধ থাকে দীর্ঘ দিন। যা স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের জন্য খুব ক্ষতি হয়।
২.কলেজের ছাত্র ছাত্রীর পরীক্ষা দেওয়ার জন্য কলেজ থেকে বেঞ্চ স্কুলে নিতে হয়।উত্তর পত্র,অন্যান্য কর্মচারী ও পরীক্ষা কমিটি সেখানে যেতে হয়,যাতে বেশ অর্থব্যয় হয়।
শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের কাছে আমার আবেদন হলো- উপজেলায় স্ব-স্ব কলেজে পরীক্ষা হবে। শিক্ষক আসবে বাহিরের কলেজ থেকে। তাহলে উপরোক্ত ক্ষতি হবে না। শুধু না বুঝে ভুল করে এই ক্ষতি গুলো হচ্ছে।
আমি বরিশালের আঞ্চলিক পরিচালককে বিষয় টি বলার চেষ্টা করেছি।বর্তমান করোনা কালে ছাত্র ছাত্রীদের বসার জন্য অনেক বেশি জায়গা দরকার সে অনুযায়ী পর্যাপ্ত জায়গা স্কুলে পাওয়া যায় না কাজেই গ্রামের স্কুলের কথা চিন্তা করে, কলেজের আসন ব্যবস্থা কলেজে করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাই।
এস এম তাইজুল ইসলাম
অধ্যক্ষ
গুঠিয়া আইডিয়াল ডিগ্রি কলেজ,
উজিরপুর,বরিশাল।