আপডেট: নভেম্বর ৩০, ২০২১
সৈয়দ নূর-ই আলমঃ
বরগুনার বেতাগীতে প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলা ও বিদ্যালয়ের সভাপতির সাথে শ্লীলতাহানির প্রতিবাদে বিদ্যালয়ের প্রায় চার শতাধিক শিক্ষার্থী পরিক্ষা বর্জন করেছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টায় উপজেলার কুমড়াখালি শঁশীভূষণ মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় হামলার ঘটনাটি ঘটে। ওই সময়ে বিদ্যালয়ে কর্মরত এক সহকারী শিক্ষক জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করলে বেতাগী থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে এবং এ ঘটনায় একজনকে আটক করেন।
জানা যায়, গত ১৬ নভেম্বর ২০২১খ্রি. তারিখ মঙ্গলবার কুমড়াখালি শঁশীভূষণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে বোর্ড কর্তৃক জয়ন্তি রানীর নাম অনুমোদন দেওয়া হয়। সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী স্থানীয় বাসিন্দা কিরণ সরকার রায় সভাপতি পদ অনুমোদ না পাওয়ায় শুরু হয় একের পর এক টালবাহানা। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে দুর্ব্যবহার বিদ্যালয়ে এসে ক্ষমতার দাপট সহ নানা ধরণের অনিয়মের চেষ্টা চালান তিনি। মঙ্গলবার সকালে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে শিক্ষকদের সাথে বাজে আচারণ শুরু করেন এক পর্যায়ে সকল শিক্ষার্থীদের পরিক্ষার জন্য নির্ধারিত ফি‘র টাকা ফেরৎ দেয়ার জন্য নির্দেশ করেন। আর এহেন কাজে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি সুব্রত রায় বাধা দিলে বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিনকে মারধর শুরু করেন, এগিয়ে আসেন তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারী কম্পিউটার অপারেটর রমা রায় তারও শ্লীলতাহানি করেন কিরণ সরকার।
এমন ঘটনায় বিদ্যালয়ে পরিক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীরা ক্ষীপ্ত হয়ে যায় শুরু হয় হট্টগল। এক পর্যায়ে তারা বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত বার্ষিক পরিক্ষা বর্জন করেন। নবম শ্রেনীর ছাত্রী শাহিনুর আক্তার বলেন, আমাদের শিক্ষককে অপমান মানেই পুরো শিক্ষক সমাজের অপমান আমরা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে এর সুবিচার চাই। একাধিক শিক্ষার্থী বলেন,দীপক কুমার ও কোয়েল নানা সময়ে বিদ্যালয়ের মধ্যে ঢুকে শিক্ষকদের সাথে খারাপ আচারণ করতো। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিদ্যালয়ের এক সহকারি শিক্ষক জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করলে বেতাগী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন এবং ঘটনাস্থল থেকে কোয়েল নামের এক যুবককে আটক করেন। তবে এ ব্যাপরে জানতে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ কারার চেষ্টা করলেও সম্ভব হয়নি তাদের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
কুমড়াখালি শঁশীভূষণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাঈনুল ইসলাম বলেন,‘ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি বেশ অপ্রীতিকর।এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসকে অবহিত করেছি। আমি প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে এ ঘটনার সঠিক বিচারের দাবী জানাচ্ছি।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জয়ন্তি রানী বলেন,‘ আমি সভাপতি হওয়ার পর থেকেই এলাকার একটি কুচক্রীমহল প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্ন করার লক্ষ্যে নানা ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে।এ ঘটনায় বেতাগী থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
বেতাগী থানার ওসি মো. শাহআলম হাওলাদার বলেন,‘ লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।