আপডেট: জানুয়ারি ৬, ২০২২
উজিরপুর(বরিশাল) প্রতিনিধিঃ
বরিশালের উজিরপুরে ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকটে স্বাস্থ্য সেবা ব্যাহত হচ্ছে। উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক পদায়ন থাকলেও তারা প্রেশনে অন্যাত্র থাকার কারনে চিকিৎসা পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। জানাযায়, উজিরপুর উপজেলায় ২ লক্ষ ৮৮ হাজার ৫১০ জন লোকের বিপরীতে ৫০ শয্যা হাসপাতালে দুইজন চিকিৎসক দিয়ে চলছে চিকিৎসা কার্যাক্রম। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৭ টি জুনিয়র কনসালটেন্ট পদ থাকলেও তার বিপরীতে রয়েছেন ৩ জন জুনিয়র কনসালটেন্ট । এর ভিতর জুনিয়র গাইনি কনসালটেন্ট ডাঃ শাহানাজ বেগম ডেপুটেশনে আছে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। বাকি দুইজন হলেন জুনিয়র কনসালটেন্ট এ্যানস্থেথিয়া ডাঃ সাইদুল হোসেন, শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ অনামিকা ভট্টাচার্য । উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ সব্য সাচী দাস থাকলেও তিনি বর্তমানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে প্রেশন আছেন। মেডিকেল অফিসার ৭জন থাকলেও পদায়ন আছে দুই জনের। তারা হলেন চিকিৎসক ডাঃ শামসুদ্দোহা তৌহিদ, ঝিলম বিশ্বাস। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শওকত আলী প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক কাজে ব্যস্তা থাকলেও এরপাশাপাশি দিন-রাত চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে সাধারণ মানুষদের। স্বাস্থ্য সেবা মানুষের দৌড়ঘোরায় পৌঁছাতে বর্তমান সরকার উজিরপুরের প্রতিটি ইউনিয়নে চালু করেছে কমিউনিটি ক্লিনিক সাব সেন্টার। সেখানে ০৫ টি উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ০৪ টি স্বাস্থ্য পরিবার কল্যান কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। শোলকের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রে ডাঃ তাওহীদ কবীরের কর্মস্থল হলেও তিনি সেইখানে কাজ না করে প্রেশনে উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আছেন । হারতা স্বাস্থ্য পরিবার কল্যান কেন্দ্রের ডাঃ শাহরিয়া হকও প্রেশনে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কাজ করছেন। আটিপাড়া উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডাঃ মুনজেরিন রহমান প্রেশনে সদর হাসপাতালে এবং গুঠিায় স্বাস্থ্য পরিবার কল্যান কেন্দ্রে ডাঃ তৌওফিক সেকেন্দার বর্তমানে প্রেশনে রেলওয়ে হাসপাতাল কমালপুরে কর্মরত রয়েছে । শিকারপুর উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডাঃ সুমাইয়া হোসেন, জল্লার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রের ডাঃ নুসরাত জাহান। তাদের স্বাস্থ্য কেন্দ্র বন্ধ করে উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে চিকিৎসা কার্যক্রম চালাচ্ছে রোগীদের সামাল দিতে। শূন্য রয়েছে চথল বাড়ী, সাতলা স্বাস্থ্য পরিবার কল্যান কেন্দ্র। এছাড়া উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনির কর্মচারী জনবল সংকটের কারনে হাসপাতালে অন্যান্য পরিসেবা ব্যাহত হচ্ছে। উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ০৫ টি নবসৃষ্ট পদ হলেও ওই পদে এখন পর্যন্ত কোন চিকিৎসকদের পদায়ন করা হয় নি। ৫০ শয্যা হাসপাতালে সিজারের জন্য কোন ব্যবস্থা করেনি কতৃপক্ষ। উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতা আসা একাধিক রোগী জানান, হাসপাতালে ডাক্তার দেখাইতে সকালে আসলে বিকালে যেতে হয় বাড়ী। কারন হিসাবে তারা বলেন, রোগীদের চাপ বেশি সেই তুলনায় ডাক্তার না থাকায় এই সমস্যা হচ্ছে মনে হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শওকত আলী জানান, পদায়নরত চিকিৎসকরা প্রেশনে থাকার কারনে এবং জুনিয়র কনসালটেন্ট সার্জারি, গাইনি, অর্থপেডিক্স বিশেষজ্ঞ না থাকার কারনে চিকিৎসা সেব ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া হাসপাতালের অপারেশনে থিয়েটারে জিএ মেশিন রয়েছে তা অনেক পুরাতন। অপরেশন চালু করতে হলে নতুন জিএ মেশিন এবং আধুনিকায়ন করা প্রয়োজন ।
বরিশাল সিভিল সার্জন ডাঃ মনোয়ার হোসেন জানান, চিকিৎসক সংকটের বিষয়টি ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে । তবুও আমরা সাধ্যমগ চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি।