ভোলা সদর প্রতিনিধি।

ভোলার আলোচিত শিশু হত্যা ও গণধর্ষণ মামলার আসামী জুলহাস (৩২) কে ঢাকার মীরপুর এলাকা হইতে গ্রেপ্তার করেছেন ভোলা সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ আরমান হোসেন।

শনিবার (২২ জানুয়ারি) দুপুর ১ টা ১০ মিনিটের সময় ডিএমপি ঢাকার মীরপুর এলাকা হইতে তাকে গ্রেপ্তার করেন ভোলা সদর মডেল থানা ইন্সপেক্টর মোঃ আরমান হোসেন।

রোববার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে আসামী জুলহাস কে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ইন্সপেক্টর মোঃ আরমান হোসেন নিজেই । গ্রেপ্তারকৃত জুলহাস (৩২), ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে পাঙ্গাশিয়া গ্রামের বাসিন্ধ মোঃ রতন মৃধার ছেলে।

ভোলা সদর মডেল থানার মামলা নং ১৪, তাং ৭/৭/২১ ইং, ধারা ৪৫৮/৩৯৪/৩০২/২০১/৩৪ তৎসহ নারী ও শিশু নিযাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ৯(৩). এ এটি একটি গণধর্ষণ, শিশু হত্যা ও দস্যুতার মামলা রয়েছে।

মামলা সুত্রে জানা যায়, পশ্চিম ইলিশা ৪ নং ওয়ার্ডে এ ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার সময় আসামিরা মুখোশ পরে বাদীর ঘরে প্রবেশ করে তাহার ঘুমন্ত স্ত্রীর মুখ, হাত পা বেধে গণধর্ষণ করে। ঘটনার এক পর্যায় স্ত্রীর পাশে থাকা ঘুমন্ত তাহার ৩ মাসে শিশু কান্নাকাটি শুরু করে, কান্নাকাটি করতে থাকার কারনে তাহার ৩ মাসের শিশুকে হত্যা করে ঘরের পার্শ্ববর্তী ডোবার পানিতে ফেলে দেয় আসামিরা। পরে বাদীর ঘরে থাকা টাকা পয়সা স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায় আসামীরা।

পুলিশ সুত্রে আরো জানা যায়, ঘটনার পরবর্তীতে আসামিরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার কারনে কৌশলে এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য বারবার আসামিরা তাদের স্থান পরিবর্তন করতে থাকেন। ঘটনার পরপর ১ জনকে আটক করে ভোলা সদর মডেল থানা পুলিশ। এবং গত কাল শনিবার (২২ জানুয়ারি) এ মামলার আরেক আসামি জুলহাস কে ঢাকার মীরপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আটককৃত আসামিদের তথ্যমতের ভিত্তিতে মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

ভোলা সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ আরমান হোসেন আরো জানান, এখন প্রর্যন্ত ঘটনার সাথে জড়িত ২ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদেরকে গ্রেফতারের স্বার্থে নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না, তবে তাদের কে আটকের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে, এবং খুব শিগরিই বাকি আসামিদের কে ও আটক করে আইনের আওতায় আনতে পারবো বলে আসা করি।