২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

শিরোনাম
তেলবাহী লড়ি উল্টে গিয়ে আগুন লেগে এক জনের মৃত্যু। ভূমি বিষয়ক তথ্যাদি স্কুলের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করো হয়েছে-ভূমিমন্ত্রী মির্জা ফকরুলরা তারেক জিয়ার নির্দেশে জনগনের সাথে প্রতারনা ও তামশা করছে-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিগ বার্ড ইন কেইজ: ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার  ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ১ কোটি টাকার বৃত্তি ফান্ড গঠিত হাইকোর্টের রায়ে ডিন পদে নিয়োগ পেলেন যবিপ্রবির ড. শিরিন জয় সেট সেন্টার’ থেকে মিলবে প্রশিক্ষণ, বাড়বে কর্মসংস্থান: পীরগঞ্জে স্পীকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাদি মোহম্মদ আর নেই

রানীর হেঁটে যাওয়া পথ ধরে বরিশালের ‘দুর্গাসাগর!’

আপডেট: মার্চ ২, ২০২২

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

রানীর হেঁটে যাওয়া পথ ধরে বরিশালের ‘দুর্গাসাগর!’
ইতিহাস ও ঐতিহ্যে সমৃদ্ধশালী প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা নদীমাতৃক জেলা বরিশাল। ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে এই জেলার অন্যতম ভ্রমণস্থান দুর্গাসাগর দীঘি। প্রতিদিন এ দীঘির সৌন্দর্য উপভোগ করতে দূর-দূরান্ত থেকে শত শত মানুষ ছুটে আসেন।

বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়নের বানারীপাড়া-বরিশাল সড়কের পাশেই এ দীঘির অবস্থান। বরিশাল শহর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ১২ কিলোমিটার।

জানা যায়, স্থানীয় জনগণের পানি সঙ্কট নিরসনে ১৭৮০ খ্রিস্টাব্দে তৎকালীন রাজা শিব নারায়ন তার স্ত্রী রানী দুর্গাবতীর নাম অনুসারে এই দীঘির নামকরণ করেন দুর্গাসাগর।

কথিত রয়েছে, রানী দূর্গাবতী একবারে যতদূর পর্যন্ত হেঁটে গিয়েছিলেন ততদূর পর্যন্ত এ দীঘি খনন করা হয়। সেই আমলে এই দীঘি খননে ব্যয় হয় তিন লাখ টাকা। দিঘী খননে এক রাতে রানী প্রায় ৬১ কানি জমি হেঁটেছিলেন।

জেলা প্রশাসনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দীঘিটি ৪৫ একর ৪২ শতাংশ জমিতে অবস্থিত। এর ২৭ একর ৩৮ শতাংশ জলাশয় এবং ১৮ একর চার শতাংশ পাড়। দীঘির উত্তর-দক্ষিন পাড়ের দৈর্ঘ্য ১৪৯০ ফুট এবং পূর্ব-পশ্চিমে প্রশস্ত ১৩৬০ ফুট। দীঘির চারপাশ দিয়ে হাঁটার জন্য ১ দশমিক ৬ কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে। এছাড়াও দীঘিটির মূল সৌন্দর্য এর মাঝখানের ছোট্ট টিলাটি। যা এ দীঘির সৌন্দর্যকে আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে তুলেছে।

একটা সময় ছিল— শীত মৌসুমে বিভিন্ন প্রজাতির পাখির কলকাকলিতে মুখর থাকতো পুরো দুর্গাসাগর এলাকা। তবে বর্তমানে পরিবেশ বিপর্যয় ও পাখি শিকারিদের উৎপাতে অতিথি পাখির তেমন একটা দেখা মিলে না।

Durga-Sagar-pic-3দীঘির চারপাশে নারিকেল, সুপারি, শিশু, মেহগনি প্রভৃতি বৃক্ষ রোপন করে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলা হয়েছে। যা বর্তমানে দীঘিটির শোভা আরও বেশি বাড়িয়ে তুলেছে। এছাড়াও দীঘির দু’পাশে রয়েছে দুটি বিশালাকার শান বাঁধানো ঘাট। দীঘির চারপাশে বাঁধাই করা রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে ভ্রমণ পিপাসুরা উপভোগ করতে পারেন দীঘির মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য।

বর্তমানে জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধায়নে দীঘির পশ্চিম পাড়ে ঘাট সংলগ্ন স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে জেলা পরিষদের ডাকবাংলো। ইচ্ছা করলে ভ্রমণকারীরা এখানে রাতও কাটাতে পারেন।

ভ্রমণ পিপাসুদের আকৃষ্ট করতে দিঘীর মধ্যে বাচ্চাদের জন্য ছোট্ট একটি শিশু পার্ক ও চিড়িয়াখানায় স্থাপন করেছে জেলা প্রশাসন। চিড়িয়াখানায় রয়েছে বেশ কয়েকটি হরিণ, বানর, ময়ূরসহ বেশকিছু জীবজন্তু। আগত পর্যটকদের বিনোদনের জন্য দিঘীতে নৌকার ব্যবস্থাও করেছে কর্তৃপক্ষ। ঘন্টা প্রতি দুই শ’ টাকার বিনিময়ে নৌকা নিয়ে পুরো দীঘি ঘুরে বেড়াতে পারেন ভ্রমন পিপাসুরা। দীঘিতে ঘুরতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তায় রয়েছে সিসি ক্যামেরাও।

Source. Dhakamail.com

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
     
Website Design and Developed By Engineer BD Network