আপডেট: ডিসেম্বর ৬, ২০২৩
গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরধরে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের এক নেতাকে থানায় নিয়ে ১০ ঘন্টা আটকে রেখে শারিরিক ও মানষিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে এক এসআই’র বিরুদ্ধে। ঘটনাটি বরিশালের উজিরপুর উপজেলার দত্তেস্বর গ্রামের।
বুধবার দুপুরে ওই গ্রামের সালাম সিকদারের ছেলে দত্তেস্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য সুমন সিকদার অভিযোগ করে বলেন, ২০১৫ সালে চাচা মিজান সিকদারের কাছ থেকে বসতবাড়ির ১৩ শতক জমি সাব-কবলা দলিলমূলে ক্রয় করে ভোগ দখল করে আসছি। ওই জমির ওপর একটি ছাগলের খামার সহ গাছপালা রোপন করেছি। কিছুদিন যাবত জমি বিক্রেতা মিজান সিকদার তার বিক্রিত জমির মধ্যে আরও জমি পাবে বলে মিথ্যে দাবী করে আসছে। এ ঘটনায় তার সাথে আমার বিরোধ রয়েছে। ওই বিরোধের জেরধরে আমার ক্রয় জমিতে থাকা ছাগলের খামার উচ্ছেদ করার জন্য গত কয়েকদিন যাবত স্থানীয় ইউপি সদস্য ও থানা পুলিশের যোগসাজসে আমাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে আসছে চাচা মিজান।
তারই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার দুপুরে উজিরপুর থানার এসআই মুসা ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আমার বাড়িতে এসে জানায় যে, ওসি আমাকে যেতে বলেছে। পরে আমি তাদের সাথে থানায় যাই। সেখানে আমাকে কোন অভিযোগ ছাড়াই থানায় ১০ ঘন্টা আটকে রেখে শারিরিক ও মানষিক নির্যাতন চালায় এসআই মুসা। পরবর্তীতে আমার কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর রেখে তিনদিনের মধ্যে খামার সরিয়ে ফেলার মৌখিক নির্দেশ দিয়ে থানা থেকে আমাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। নির্দেশ অমান্য করলে নাশকতা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়া হয়।
এবিষয়ে জানতে এসআই মুসার ০১৭৩১৭৩৭৫২২ নাম্বারে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া যায়নি। তবে থানায় আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে উজিরপুর থানার ওসি মোঃ জাফর আহমেদ জানান, অবৈধ ভাবে জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেয় মিজান সিকদার। এ সংক্রান্ত বিষয়ে দুই পক্ষকে থানায় ডেকে আনার পর স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার কথা ছিলো। এজন্য মিজান সিকদারের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলো ভাতিজা সুমন। তারপরও স্থাপনা না সরানোয় ফের সুমনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয় তার চাচা মিজান সিকদার। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে উভয় পক্ষকে থানায় ডেকে নিয়ে আসলে উভয়পক্ষ সম্মিলিত ভাবে স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করে চলে যায়।