৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার

শিরোনাম
তেলবাহী লড়ি উল্টে গিয়ে আগুন লেগে এক জনের মৃত্যু। ভূমি বিষয়ক তথ্যাদি স্কুলের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করো হয়েছে-ভূমিমন্ত্রী মির্জা ফকরুলরা তারেক জিয়ার নির্দেশে জনগনের সাথে প্রতারনা ও তামশা করছে-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিগ বার্ড ইন কেইজ: ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার  ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ১ কোটি টাকার বৃত্তি ফান্ড গঠিত হাইকোর্টের রায়ে ডিন পদে নিয়োগ পেলেন যবিপ্রবির ড. শিরিন জয় সেট সেন্টার’ থেকে মিলবে প্রশিক্ষণ, বাড়বে কর্মসংস্থান: পীরগঞ্জে স্পীকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাদি মোহম্মদ আর নেই

“বাবার স্বপ্ন আর পূরণ হলো না”

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৪

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ : এসএসসি পরিক্ষার্থী নাইম হোসেন হ্নদয় মোল্যা। এ বছর মুকসুদপুর উপজেলার হাদিউজ্জামান মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।

পরীক্ষা শেষে নাইম হোসেন হ্নদয় মোল্যা বলেন, বাবার ইচ্ছা ছিলো আমি বড় হয়ে বিসিএস ক্যাডার হবে। কিন্তু বাবর স্বপ্ন আর পূরণ হলো না। বাবা দেখে যেতে পারলেন না আমার ভবিষ্যত। তার আগেই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন।

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে বাবার মরদেহ বাড়িতে রেখে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন পরীক্ষার্থী নাইম হোসেন হ্নদয় মোল্যা।

আজ মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) সরকারি মুকসুদপুর কলেজ কেন্দ্রে ধর্ম পরীক্ষা দেয় ওই শিক্ষার্থী।

মুকসুদপুর কলেজ কেন্দ্র সচিব অচিন্ত কুমার বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পরীক্ষার্থী নাইম হোসেন হ্নদয় মুকসুদপুর উপজেলার বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়নের খাঞ্জাপুর গ্রামের মনিরুজ্জামান মোল্যার ছেলে৷ সে এ বছর হাদিউজ্জামান মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।

পরীক্ষার্থী নাইম হোসেন হ্নদয় মোল্যা জানান, আমার বাবা মনিরুজ্জামান মোল্যা গতকাল সোমবার রাতে ষ্ট্রোক করে ইন্তকাল করেন। কিন্তু আজ আমার ধর্ম পরীক্ষা ছিল। আমার বাবার মরদেহ দফন করা হবে আজ। কিন্তু আমি আমার বাবার স্বপ্ন পূরণের জন্য বাড়ীতে বাবার মরদেহ রেখে পরীক্ষা দিতে এসেছি। পরীক্ষা দিলাম, এখন বাড়ীতে গিয়ে বাবার মরদেহ দাফন করবো।

শিক্ষার্থীর চাচা বাবুল মোল্যা জানান, আমার ভাই মনিরুজ্জামান মোল্যা গতকাল রাতে ষ্ট্রোক করে ইন্তকাল করেন। ভাতিজার আজ পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা শেষ হয়েছে, এখন আমার বড় ভাইয়ের মরদেহ দাফন করা হবে।

কেন্দ্র সচিব অচিন্ত কুমার বিশ্বাস জানান, শিক্ষার্থী নাইম হোসেন হ্নদয় মোল্যার বাবা ইন্তেকাল করেছেন৷ আমরা খবর পেয়ে তাকে আলাদা পরীক্ষা দেয়ার ব্যাবস্থা করেছিলাম। সে জানিয়েছিল সবার সাথে বসেই পরীক্ষা দেবে। পরীক্ষার সময় সে স্বাভাবিক ছিল৷ তার পরীক্ষার জন্য সবরকম ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছিল।

পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত মুকসুদপুর থানার এএসআই শফিকুল ইসলাম জানান, শিক্ষার্থী নাইম হোসেন হ্নদয় মোল্যার পরীক্ষা সুষ্ঠভাবে দেয়ার জন্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। সে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা দিয়েছে। #

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
     
Website Design and Developed By Engineer BD Network