আপডেট: জুলাই ৮, ২০২১
বরিশাল প্রতিনিধি
টিকা গ্রহণ ও নিবন্ধন সংক্রান্ত জটিলতায় পরেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোর শিক্ষার্থীরা। গত ৫ই জুলাই থেকে প্রতিষ্ঠানটির একাধিক শিক্ষার্থী টিকা পাওয়া শুরু করলেও অনেকেই এখনো নিবন্ধন করতে পারে নি। তবে দ্রুতই এ সমস্যা কেটে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের শুরুর দিকে সেখানকার তিনটি হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের তথ্য নেয়া শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনা হবে সরকারি এমন সিদ্ধান্তের আলোকে এসব তথ্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) পাঠানো হয়।
গত পহেলা জুলাই ইউজিসি জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পক্ষ থেকে পাঠানো শিক্ষার্থীদের তালিকা (জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরসহ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমে (এমআইএস) জমা দেওয়া হয়েছে। এসব শিক্ষার্থী করোনার টিকাসংক্রান্ত সুরক্ষা ডটকমে প্রবেশ করে টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন।
নিবন্ধনকৃত শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দমতো টিকাকেন্দ্রে টিকা গ্রহণের সুযোগ পাবেন। তবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী নিবন্ধন করতে পারলেও অনেকেই পারছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে একাধিক আবাসিক শিক্ষার্থী টিকা গ্রহণের সুযোগ পাওয়া শুরু করলে নিবন্ধন করতে না পারা শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।
গত ৫ই জুলাই থেকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীরা প্রথম টিকা পেতে শুরু করেন। এদিন বাগেরহাট জেলা সদর হাসপাতালে টিকা গ্রহণ করেন প্রতিষ্ঠানটির ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী অনামিকা সাহা। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হিসেবে কয়েকমাস আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে তথ্য দেই। এরপর গতমাসে রেজিস্ট্রেশন করার সময় টিকাকেন্দ্র হিসেবে নিজ জেলা নির্বাচন করি৷
তবে রেজিষ্ট্রেশন না করতে পারা শিক্ষার্থীদের সংখ্যাই অনেক। এ ব্যাপারে শেরে বাংলা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী নিসাদুল ইসলাম গতকাল মঙ্গলবার বলেন,টিকা দেবার জন্য হলের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে যখন তথ্য চাওয়া হয় তখন অনেকের মতো আমিও যথাযথভাবে তথ্য প্রদান করি। যখন রেজিষ্ট্রেশন শুরু হয়েছে তখন থেকে চেষ্টা করার পরও আজ পর্যন্ত রেজিষ্ট্রেশন করতে পারি নি। প্রতিদিন যতটুকু খবর নিচ্ছি তাতে নিবন্ধন না করতে পারা অনেক শিক্ষার্থীদের তথ্য পাচ্ছি।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড.সুব্রত কুমার দাস জানান, ইউজিসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কয়েকমাস পূর্বে প্রতিষ্ঠানটির আবাসিক শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রেরণ করেন তারা৷ পরবর্তীতে সেসব তথ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক নির্দিষ্ট ডাটাবেজে আপলোড করা শুরু হয়। যাদের তথ্য আপলোড হয়েছে তারা নিবন্ধন করে গত ৫ই জুলাই থেকে টিকা পেতে শুরু করেছে।
পর্যায়ক্রমে তালিকায় নাম যুক্ত করা সকল শিক্ষার্থী নিবন্ধন করে টিকার আওতায় আসবে জানিয়ে এই শিক্ষক বলেন, আমরা আমাদের কাজটুকু করেছি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ডাটাবেজে তথ্য আপলোডে বিলম্ব হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী নিবন্ধন করতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে বলে শুনেছি। তবে আশা করছি আগামী সপ্তাহের মধ্যে সকলে রেজিষ্ট্রেশন করার সুযোগ পাবে।
ইউজিসি সূত্রে জানা গেছে, ৩৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ১ লাখ ৩ হাজার ১৫২ জন আবাসিক শিক্ষার্থীর তালিকা দেওয়া হয়েছে। টিকা দিতে দেরি হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় খোলাও দেরি হচ্ছে। চলতি জুলাই মাস থেকে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনা হবে। ##