বরিশাল ব্যুরো
বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ডা: এইচ এন সরকার ভারতের শ্রী বালাজী মেডিকেল কলেজ ডিমড ইউনিভার্সিটির ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। গত ২৬ আগস্ট তিনি এ নিয়োগপত্র গ্রহন করেন। এর আগে তিনি গত বছর ৩ ফেব্রুয়ারী গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে অবসরে যান।
অধ্যাপক ডাঃ এইচ এন সরকার ১৯৭৬ সালে বরিশালের উজিরপুরের কারফা পাবলিক একাডেমি থেকে এসএসসি পাশ করেন। ১৯৭৮ সালে বরিশাল ব্রজমোহন কলেজ থেকে এসএইচসি পাস করেন। এরপর বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ থেকে ১৯৮৪ সালে এমবিবিএস পাস করে বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেজিষ্ট্রার হিসাবে যোগদান করেন। ২০০৪ সালে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিসিয়ানস এবং সার্জনস অব বাংলাদেশ থেকে ইন্টার্নাল মেডিসিন ওপর এফসিপিএস পাস করেন। ২০১১ সালে ইংল্যান্ডের রয়েল কলেজ অফ সিজিসিয়ানস থেকে এমআরসিপি ও ২০১৬ সালে নিউরোর ওপর এমআরসিপি, ২০১৩ সালে এডিন থেকে এফআরসিপি ও সর্বশেষ ২০১৯ সালে গ্ল্যাস্কো থেকে এফআরসিপি ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি ১৯৯৫ সাল থেকে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। মেডিকেল স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের ওপর মোট ৯টি বই লেখেন ডাঃ এইচ এন সরকার। তার লেখা বই আন্তর্জাতীক প্রকাশনা অধিদপ্তর এলসিভিআর, জেপি এবং সিবিসি থেকে প্রকাশিত হয়। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিন থেকে ২০১৮ সালে অথরচ্ এ্যায়ার্ড পান। ২০১৯ সালে ভারতের খ্যাতিমান সংগঠন রাইটার্স ওয়াল্ডের আন্তর্জাতিক মৈত্রি এ্যায়ার্ড এ ভূষিত হয়েছেন। সর্বশেষ ২০১৯ সালে নেপাল বাংলাদেশ ফেন্ডস্সীপ এ্যায়ার্ড পান তিনি।
পাশাপাশি তিনি ডায়াবেটিস্ রোগীদের বিনারক্তে ব্লাড সুগার মাপার যন্ত্র আবিষ্কার করেন। এছাড়া ২০১১ সালে কারফা গ্রামে গরীব মানুষের সেবায় সরলামঙ্গল ফাউন্ডেশন নামে একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান গড়েন তিনি। এই প্রতিষ্ঠানের উদ্দ্যেগে প্রতি বছর ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প মন্দির, রাস্তা ঘাট নির্মান করেন। উজিরপুর উপজেলা জল্লা ইউনিয়নে কারফা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে ১৯৬১ সালের ৪ ফেব্রয়ারী জন্মগ্রহন এইচ.এন সরকার। যার পুরো নাম হরেন্দ্র নাথ সরকার। তার পিতার নাম মঙ্গল চন্দ্র সরকার ও মাতা সরলা রানী সরকার। ##