ববি প্রতিবেদক
‘শেখ রাসেল দীপ্ত জয়োল্লাস, অদম্য আত্মবিশ^াস’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দেশে প্রথমবারের মত উদ্যাপিত হচ্ছে ‘শেখ রাসেল দিবস’। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর কনিষ্ঠ সন্তান শেখ রাসেলের ৫৮ তম জন্মদিন উপলক্ষে বরিশাল বিশ^বিদ্যালয়েও নানা কর্মসূুচি গ্রহণ করা হয়। এদিন স্মারক বৃক্ষরোপন, কেক কাটা, আলোচনা সভা, দোয়া-মিলাদ ও বিশেষ প্রার্থনার মাধ্যমে শেখ রাসেলকে স্মরণ করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার। সকাল ১১ টায় স্মারক বৃক্ষরোপন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন। দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কীর্তনখোলা অডিটোরিয়ামে সকাল ১১.৪০ টায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, ডিন, প্রক্টর, প্রাধ্যক্ষ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনের সভাপতি, সাধারন সম্পাদকসহ শিশুদের সাথে নিয়ে কেক কাটেন উপাচার্য মহোদয়।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ছাদেকুল আরেফিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. খোরশেদ আলম, সাধারন সম্পাদক জ্যোতির্ময় বিশ^াস, বঙ্গবন্ধু হলের প্রাধ্যক্ষ আরিফ হোসেন, শেরে বাংলা হলের প্রাধ্যক্ষ আবু জাফর মিয়া, শিক্ষকদের মধ্যে মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মনোয়ারা বেগম, অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি বাহাউদ্দীন গোলাপ, গ্রেড ১১-১৬ কল্যান পরিষদের সাধারন সম্পাদক আরিফ হোসেন সুমন, গ্রেড ১৭-২০ কল্যান পরিষদের সাধারন সম্পাদক শফিকুর রহমান।
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য মহোদয় বলেন, শেখ রাসেল সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানতে হবে। শেখ রাসেল দিবস পালনের প্রাসাঙ্গিকতা হচ্ছে ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে শেখ রাসেলের আত্মত্যাগকে তুলে ধরা। মহান মুক্তিযুদ্ধ ও তৎপরবর্তী সঠিক ইতিহাস আমাদের তরুণ প্রজন্মকে উপলব্ধি করতে হবে। আমাদেরকে যারা একটি স্বাধীন দেশ ও মানচিত্র দিয়েছে তাঁদের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। কাজেই ভবিষ্যত প্রজন্মের নিকট সঠিক ইতিহাস পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব প্রত্যেককে প্রত্যেকের অবস্থান থেকে পালন করতে হবে। এছাড়া শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে বাদ যোহর দোয়া-মিলাদ এবং কেন্দ্রীয় মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।