২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

শিরোনাম
তেলবাহী লড়ি উল্টে গিয়ে আগুন লেগে এক জনের মৃত্যু। ভূমি বিষয়ক তথ্যাদি স্কুলের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করো হয়েছে-ভূমিমন্ত্রী মির্জা ফকরুলরা তারেক জিয়ার নির্দেশে জনগনের সাথে প্রতারনা ও তামশা করছে-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিগ বার্ড ইন কেইজ: ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার  ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ১ কোটি টাকার বৃত্তি ফান্ড গঠিত হাইকোর্টের রায়ে ডিন পদে নিয়োগ পেলেন যবিপ্রবির ড. শিরিন জয় সেট সেন্টার’ থেকে মিলবে প্রশিক্ষণ, বাড়বে কর্মসংস্থান: পীরগঞ্জে স্পীকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাদি মোহম্মদ আর নেই

পবিপ্রবির প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ।

আপডেট: অক্টোবর ২২, ২০২২

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টারঃ পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে । বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুমোদন ব্যতীত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, নিয়োগ কার্যক্রম শুরুর আগেই অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাবশালী শিক্ষকদের মেয়ে ও বাগদত্তা স্ত্রীর নিয়োগসহ অন্যান্য পদেও প্রার্থী চূড়ান্ত করার নানা অভিযোগ উঠেছে ।

সূত্র মতে, গত ১৭ অক্টোবর, ২০২২ তারিখে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ১২টি প্রভাষক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার ক্ষেত্রে পবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সকল নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ প্রদানের আগে প্রতিটি ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন থেকে সংশ্লিষ্ট পদটি লিখিতভাবে অনুমোদন করিয়ে নেওয়ার একটি সুস্পষ্ট নীতিমালা রয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের। আগের সকল ভাইস-চ্যান্সেলর এই নীতিমালা অনুসরণ করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলেও বর্তমান প্রশাসন তার তোয়াক্কা করছে না।

এছাড়াও গত ২৬ মে, ২০২২ তারিখে প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম সম্প্রতি শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রশাসন। এক্ষেত্রেও কেবল মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু মৌখিক পরীক্ষার আগেই কোন পদে সম্ভাব্য কাদের চাকুরী হবে তা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সকলের মুখে মুখে।
মোঃ আশিকুর রহমান নামের চাকুরী প্রত্যাশী এক প্রার্থীর ভাই অভিযোগ করে বলেন, উদ্যানতত্ত্ব বিভাগে হাবিবা জান্নাত মিম, জেনেটিক্স এন্ড প্লান্ট ব্রীডিং বিভাগে মোঃ ইব্রাহীম খলিল, কমিউনিটি হেলথ এন্ড হাইজিন বিভাগে সুবর্ণা ঘোষ অথবা ফজিলাতুন্নেছা ইমু, এনভারমেন্টাল স্যানিটেশন বিভাগে মো: হাসিব, প্যাথলজি এন্ড প্যারাসাইটোলজি বিভাগে শম্পা রানী, ফুড মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে মোকাম্মেল হক শাওন এর চাকরি নিয়োগ কার্যক্রম শুরুর আগেই ইতিমধ্যে নিশ্চিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়াও নিয়োগ প্রদান করার কার্যক্রম শুরুর আগেই প্রার্থী চূড়ান্ত হওয়ায় নিয়োগ বাণিজ্যের গন্ধ পাচ্ছেন সবাই । উল্লেখিত প্রার্থীদের মধ্যে হাবিবা জান্নাত মিম পবিপ্রবির সাবেক প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ও উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর মেয়ে। ক্যাম্পাসে গুঞ্জন রয়েছে, পিতার আশীর্বাদে কন্যার ভালো ফলাফল অর্জন ও পিতার বিভাগেই মাস্টার্স সম্পন্ন করা হাবিবা জান্নাত মিম এখন পিতার প্রভাবে পিতার বিভাগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে চলেছেন। এছাড়াও, জেনেটিক্স এন্ড প্লান্ট ব্রীডিং বিভাগে চূড়ান্ত হওয়া মোঃ ইব্রাহিম খলিল সাবেক প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর উক্ত কন্যা হাবিবা জান্নাতি মীমের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার শর্তে চাকরি বাগিয়ে নিচ্ছেন। অন্যদিকে, ফুড মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের মোকাম্মেল হোসেন শাওনকে ভাইবার প্রবেশপত্র দেওয়া হলেও তিনি মাস্টার্স করেছেন সাসটেইনেবল এগ্রি এন্ড ফুড সিকিউরিটিতে। কমিউনিটি হেলথ এন্ড হাইজিন বিভাগের প্রভাষক পদটি নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক সুজন কান্তি মালী ও উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ রুবেল হোসেন জড়িয়ে পড়েছেন দ্বন্দ্বে। সুজন কান্তি মালি তার প্রেমিকা ও কথিত বাগদত্তা স্ত্রী সুবর্না ঘোষের চাকরি চূড়ান্ত করতে চাচ্ছেন। সুজন কান্তি মালি ইতিপূর্বে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে পরে তা থেকে সরে আসলে, ওই শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে এসে তাকে অপমানও করে যান বলে অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে মো: রুবেল হোসেন তার স্ত্রী ফজিলাতুন্নেসা ইমুর চাকরি চাচ্ছেন। ফজিলাতুন্নেসা ইমুর অনার্সে একটি বিষয়ে ফেল ও রিটেক থাকায় পূর্বের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডঃ হারুনুর রশিদ ইতিপূর্বে তাকে প্রবেশপত্র ইস্যু করেনি। এছাড়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ১ নম্বর শর্ত অনুযায়ী মাত্র ১০ জনকে প্রবেশপত্র দেয়ার কথা উল্লেখ থাকলেও ফজিলাতুন্নেছা ইমুকে প্রবেশপত্র দেওয়ার জন্য নিয়ম ভঙ্গ করে পবিপ্রবি প্রশাসন এই পদে ১৩ জনকে প্রবেশপত্র দিয়েছেন।
এবিষয়ে রেজিস্ট্রার ড. কামরুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত কোন কার্যক্রম শুরু হয়নি আর নিয়োগ বানিজ্যেরতো কোন প্রশ্নই উঠে না। তাছাড়া কোন ধরনের অনিয়মের অভিযোগ পাইনি এখনও।

সকল অভিযোগ অস্বীকার করে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত বলেন, নিয়োগ বানিজ্যের বিষয়টি সম্পুর্ন মিথ্যা এবং কাউকে আমরা ঠিক করে রাখিনি। পরীক্ষার মাধ্যমে জিনি টিকবেন তাকেই নেয়া হবে। এর বাইরে কোন নিয়োগ দেয়া হবে না।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
     
Website Design and Developed By Engineer BD Network